আর মাত্র ১২ দিন পর বন্ধ হয়ে যাবে ইউরোপিয়ান ক্লাব ফুটবলের দলবদলের জানালা। আগামী ৩১ আগস্টের মধ্যেই নিজেদের নতুন মৌসুমের দল গোছাতে হবে ক্লাবগুলোকে। সে লক্ষ্যে খুবই চতুরতার সঙ্গে ২০০ মিলিয়ন ইউরো (প্রায় ২ হাজার কোটি টাকা) গুছিয়ে এনেছে স্প্যানিশ জায়ান্ট রিয়াল মাদ্রিদ।
বেশ কয়েকদিন ধরেই গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে, ফ্রান্সের ক্লাব প্যারিস সেইন্ট জার্মেই (পিএসজি) থেকে তরুণ তারকা কাইলিয়ান এমবাপেকে উড়িয়ে নিয়ে আসবে রিয়াল। এবার ট্রান্সফার উইন্ডোর শেষভাগে এসে যোগ হলো বরুশিয়া ডর্টমুন্ডের নরওয়েজিয়ান তরুণ প্রতিভা আর্লিং হালান্ডের নাম।
স্পেনের মাদ্রিদভিত্তিক সংবাদমাধ্যম মার্কার প্রতিবেদনে জানা গেছে এ খবর। গতবছরের ফেব্রুয়ারিতে করোনাভাইরাসের প্রভাব পড়ার পর থেকে তিনটি ট্রান্সফার উইন্ডো গেলেও, একজন খেলোয়াড়ও কেনেনি রিয়াল। বরং একের পর এক খেলোয়াড় বিক্রি করে অর্থ জমিয়েছে ক্লাবটি।
আর এটি তারা করেছে মূলত উচ্চ মূল্যে কোনো বড় নামের খেলোয়াড়কে দলে ভেড়ানোর জন্য। এতদিন ধরে শুধুমাত্র এমবাপের ব্যাপারে গুঞ্জন শোনা গেলেও, এখন হালান্ডের নামও যুক্ত হয়েছে রিয়ালের সম্ভাব্য খেলোয়াড়ের তালিকায়। এদের দুজনেরই ট্রান্সফার ফি অনেক বেশি।
সবশেষ মার্টিন ওডেগার্ডকে ৪০ মিলিয়ন ইউরোর বিনিময়ে আর্সেনালের কাছে বিক্রি করেছে রিয়াল। এর ফলে তাদের অর্জিত অর্থের পরিমাণ এখন ২০০ মিলিয়ন ইউরো বা প্রায় ২ হাজার কোটি টাকা হয়ে গেছে। আর এই অর্থ দিয়ে তারা মূলত এমবাপে বা হালান্ডকে দলে ভেড়াবে।
স্বাভাবিকভাবেই এমবাপে বা হালান্ডকে পাওয়ার জন্য ২০০ মিলিয়ন ইউরো যথেষ্ঠ হবে। ওডেগার্ডের আগে আশরাফি হাকিমিকে ৪৫ মিলিয়ন, সার্জিও রেগুইলনকে ৩০ মিলিয়ন ও রাফায়েল ভারানেকে ৫০ মিলিয়ন ইউরোতে বেচে দিয়েছে রিয়াল। সবমিলিয়েই বিশাল অঙ্কের অর্থ এখন তাদের হাতে। যা দিয়ে বড় কোনো খেলোয়াড়কেই হয়তো ভেড়ানো হবে দলে।