পশ্চিম আফ্রিকার দেশ নাইজারের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে বন্দুকধারীদের হামলায় কমপক্ষে ১৬ জন নিহত হয়েছে। স্থানীয় কর্মকর্তা এবং একটি নিরাপত্তা সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। দেশটিতে চলতি বছর বেসামরিক নাগরিকদের ওপর গণহত্যার ঘটনা বেড়ে গেছে। প্রায়ই বিভিন্ন গ্রামে হামলা চালিয়ে নিরীহ লোকজনকে হত্যা করা হচ্ছে।
মেয়র হালিদো জিবো বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে জানিয়েছেন, স্থানীয় সময় শুক্রবার জুমার নামাজের সময় তিলাবেরির থেইম গ্রামে গুলি চালায় অজ্ঞাত বন্দুকধারীরা। এতে ১৬ বেসামরিক নিহত হয়।
একটি নিরাপত্তা সূত্রও হামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। তবে নিহতের সংখ্যা ১৭ বলে জানানো হয়েছে। গত সোমবার (১৬ আগস্ট) ওই একই অঞ্চলের একটি গ্রামে হামলার ঘটনায় ৩৭ বেসামরিক নিহত হয়। এদের মধ্যে ১৪ জনই শিশু।
গত মে মাসে জঙ্গি গোষ্ঠী ইসলামিক স্টেটের (আইএস) সঙ্গে সম্পর্কিত বেশ কয়েকজন হামলাকারী তিনটি গ্রামে সিরিজ হামলা চালায়। সশস্ত্র বাহিনীর এসব হামলায় ১১ হাজারের বেশি বাসিন্দা নিজেদের বাড়ি-ঘর ছেড়ে পালাতে বাধ্য হয়। হামলার শিকার ওই তিনটি গ্রাম থেকে মাত্র ২০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত থেইম গ্রাম।
চলতি বছরের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত মালি সীমান্তের কাছে অবস্থিত তিলাবেরি এবং তাহুয়া অঞ্চলে সশস্ত্র বাহিনীর হামলায় ৪২০ জনের বেশি বেসামরিক নিহত হয়েছে। এছাড়া আরও কয়েক হাজার মানুষ নিজেদের বাড়ি-ঘর ছেড়ে পালাতে বাধ্য হয়েছে। চলতি মাসে নিউইয়র্কভিত্তিক মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস ওয়াচ এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
গত কয়েক বছর ধরেই আল কায়েদা এবং ইসলামিক স্টেটের (আইএস) সঙ্গে সম্পর্কিত বিদ্রোহীরা বুরকিনা ফাসো, মালি এবং নাইজারে হামলা চালিয়ে আসছে। চলতি বছরের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত শত শত বেসামরিককে হত্যা করেছে বিদ্রোহীরা।
এর আগে চলতি বছরের জানুয়ারিতে নাইজারের দুটি গ্রামে জঙ্গি হামলায় অন্তত ৭৯ জন নিহত হয়। চোমবাঙ্গু গ্রামে নিহত হয় অন্তত ৪৯ জন এবং আহতের সংখ্যা ছিল ১৭। অন্যদিকে জারোমদারে গ্রামে হামলায় ৩০ জন নিহত হয়। এই দুটি গ্রাম দেশটির পশ্চিমে মালি সীমান্তের কাছে অবস্থিত। ২০১৭ সাল থেকেই ওই অঞ্চলে জরুরি অবস্থা চলছে।
নদী বন্দর / বিএফ