দীর্ঘদিনের অপেক্ষার পর একটি কালভার্ট পেয়ে এলাকাবাসীর মধ্যে কিছুটা স্বস্তি এসেছিল। কিন্তু নতুন কালভার্ট থাকলেও নেই দুই পাশের সড়ক সংযোগ, নেই কোনো যাতায়াতের ব্যবস্থা। তাই তিনটি গ্রামের বাসিন্দাদের পারাপারে ভরসা এখন কালভার্টের ওপর ফেলে রাখা দুটি গাছের গুঁড়ি।
এই গুঁড়ি মাড়িয়েই প্রতিদিন পারাপার হচ্ছে এলাকাবাসী। এই চিত্র মানিকগঞ্জের ঘিওর উপজেলার বালিয়াখোড়া ইউনিয়নের দ্বিমুখা গ্রামের একটি গ্রামীণ সড়কের।
সরেজমিনে দেখা যায়, উপজেলার বালিয়াখোড়া ইউনিয়নের প্রত্যন্ত দ্বিমুখা গ্রামে পাঁচ মাস আগে নির্মিত এই কালভার্ট এখন কোনো কাজেই আসছে না। গ্রামবাসীদের পণ্য পরিবহনে তিন কিলোমিটার ঘুরে অন্য রাস্তা ব্যবহার করে উপজেলা কিংবা জেলা সদরে যেতে হচ্ছে। মোটরসাইকেল দূরের কথা, হেঁটে কালভার্ট পাড়ি দিতে নারী, বৃদ্ধ ও শিশুদের কষ্টদায়ক ব্যাপার হয়ে পড়েছে। স্থানীয় সূত্র জানায়, ২০২০-২১ অর্থবছরে টিআর প্রকল্পের আওতায় উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার অধীনে উপজেলার দ্বিমুখা এলাকায় গ্রামীণ সড়কে ৫৫ হাজার ৫০০ টাকা ব্যয়ে একটি কালভার্ট নির্মাণ করা হয়।
ভুট্টাবাড়ী গ্রামের গৃহবধূ রোকেয়া বেগম বলেন, ‘আমাদের গ্রামের বেশির ভাগ মানুষই কৃষক। শস্য বিক্রি কিংবা বাড়িতে কোনো জিনিসপত্র আনা-নেওয়ায় খুব কষ্ট হয়।
ইউপি সদস্য মো. বাচ্চু মিয়া বলেন, ‘আমাকে শুধু কালভার্ট নির্মাণের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। মাটি ভরাটের কথা বলা হয়নি। অল্প বাজেট, তার পরে ভ্যাট-ট্যাক্স কেটে রাখা হয়েছে। এই কাজে যে টাকা বাজেট ছিল, আমি তার চেয়েও বেশি খরচ করেছি।’
বালিয়াখোড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল আওয়াল খান বলেন, ‘আমরা প্রকল্প তৈরি করে দিয়েছি। কাজ করার দায়িত্ব পিআইও অফিসের। আশপাশে মাটি নেই। এখন দূর থেকে মাটি এনে ভরাট করতে হবে। খুব দ্রুত এ সমস্যার সমাধান করে মানুষের চলাচলের উপযোগী করা হবে।’
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘কালভার্ট নির্মাণ এবং দুপাশের মাটি ভরাট করার কথা ছিল। কিন্তু কী কারণে মাটি ভরাট করা হয়নি, তা আমার জানা নেই।’ তিনি আরো বলেন, সংশ্লিষ্ট চেয়ারম্যান ও সদস্যের সঙ্গে আলোচনা করে এটি আগামী সাত দিনের মধ্যে লোকজনের চলাচলের উপযোগী করা হবে।
নদী বন্দর / পিকে