ক্রোয়েশিয়ায় ৬.৪ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্পে এখন পর্যন্ত অন্তত ৭ জন মারা গেছে। আহত হয়েছেন হাজারো মানুষ। রাজধানী জাগ্রেবের দক্ষিণপূর্বাঞ্চলীয় এলাকা পেট্রিঞ্জায় মঙ্গলবার (২৯ ডিসেম্বর) এ ভূমিকম্প আঘাত হানে। এর ২৪ ঘণ্টা আগে ৫ দশমিক ২ মাত্রার আরেকটি ভূমিকম্প আঘাত হেনেছিল ওই অঞ্চলে।
আল জাজিরা তাদের প্রতিবেদনে জানায়, ভূমিকম্পের পরপরই ভবনের নিচে আটকে পড়াদের উদ্ধারে এবং আহতদের চিকিৎসায় ছুটে আসে জরুরি বিভাগের সদস্যরা। তারা আটকে পড়াদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান।
বিবিসি জানায়, মৃত সাতজনের মধ্যে একজন পেট্রিঞ্জা এলাকার এবং পাঁচজন গ্লিনা শহরের আশেপাশে। বাকি একজনকে জাজিনা চার্চের পাশে মৃত অবস্থায় পাওয়া গেছে।
পুরো ক্রোয়েশিয়া ছাড়াও প্রতিবেশী সার্বিয়া, বসনিয়া ও হার্জেগোভনিয়াতেও ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। বন্ধ হয়ে যায় মোবাইল পরিষেবা।
পেট্রিঞ্জা মেয়র দারিনকো ডম্বোভিচ এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘শহর পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে গেছে। অর্ধেক শহরের চিত্র এখন সম্পূর্ণ পাল্টে গেছে। আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করছি, আশা করছি দ্রুতই সব স্বাভাবিক করতে পারবো।’ এখণ পর্যন্ত সাত জনের মারা যাওয়ার খবর নিশ্চিত করেন মেয়র।
ভুক্তভোগী বাসিন্দারা বলেন, এমন অবস্থার মুখোমুখি আগে কখনো হইনি। এখনো ভয় লাগছে। মনে হচ্ছে সবকিছু কাঁপছে।
ভূমিকম্পের পরপরই ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শনে যান ক্রোয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী। হতাহতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানানোর পাশাপাশি সর্বোচ্চ সহযোগিতার আশ্বাসও দেন তিনি।
ইউরোপের ভূমধ্যসাগরীয় সিসমোলজিক্যাল সেন্টার জানিয়েছে, দেশটির রাজধানী জাগ্রেব থেকে ৪৬ কিলোমিটার দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে ভূমিকম্পটি আঘাত হানে। প্রাথমিক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভূমিকম্পের ফলে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। ছাদ ভেঙে গেছে, কিছু ভবন ধসে গেছে।
নদী বন্দর / পিকে