মালয়েশিয়ার ইমিগ্রেশন বিভাগ রাজধানী কুয়ালালামপুরে অভিযান চালিয়ে ৫০৬ জন বিদেশিকে আটক করেছে, যাদের কাছে দেশটিতে অবস্থানের কোনো বৈধ কাজগপত্র ও ওয়ার্ক পারমিট ছিল না। আটককৃতদের মধ্যে দেড় শতাধিক বাংলাদেশি রয়েছেন বলে দেশটিতে অবস্থানকারী প্রবাসীদের সূত্রে জানা গেছে।
শুক্রবার (১৮ এপ্রিল) দুপুরে এক প্রতিবেদনে পাঁচ শতাধিক বিদেশিকে আটকের বিষয়টি জানিয়েছে মালয়েশিয়ার জাতীয় সংবাদ সংস্থা ‘বার্নামা’।
এতে বলা হয়, বৃহস্পতিবার (১৭) কুয়ালালামপুরের মেদান ইম্বিতে একটি অননুমোদিত অভিবাসী বসতিতে অভিযান চালায় পুত্রজায়া এবং নেগেরি সেম্বিলান ইমিগ্রেশন বিভাগ (জেআইএম)। সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে ছয়টি বিল্ডিং ব্লকে অভিযান শুরু হয়। এসময় অনেকে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। কেউ কেউ ছাদে লুকিয়ে থাকে এবং কেউ কেউ কাছের দোকানের গ্রাহক হওয়ার ভান করে। পালানোর চেষ্টা করার সময় কয়েকজন আহত হন।
অভিযান শেষে ইমিগ্রেশন বিভাগের মহাপরিচালক দাতুক জাকারিয়া শাবান ঘটনাস্থলে এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, বৈধ পরিচয়পত্র না থাকা, ওয়ার্ক পারমিট লঙ্ঘন এবং মেয়াদোত্তীর্ণ থাকার মতো বিভিন্ন অভিবাসন অপরাধের জন্য ৫০৬ জন বিদেশিকে আটক করা হয়েছে, যার মধ্যে নারী রয়েছেন ৫৮ জন।
অভিযানে অভিবাসন আইন লঙ্ঘনের সন্দেহে ৮৯৫ জন ব্যক্তিকে যাচাই করা হয়। পরে ৩৮৯ জনকে ছেড়ে দেওয়া হয়।
তিনি বলেন, আটককৃতদের বয়স ২৫ থেকে ৬৫ বছরের মধ্যে। তারা মূলত বাংলাদেশি, নেপালি এবং ইন্দোনেশিয়ার নাগরিক।
আরও তদন্তের জন্য আটককৃতদের বুকিত জলিল ইমিগ্রেশনের ডিটেনশন ডিপোতে পাঠানো হবে বলেও জানান তিনি।
মেদান ইম্বি এমন একটি হটস্পট যেখানে বিদেশিরা ছোট ছোট রুম ভাড়া করে থাকেন। চার পাঁচজন থাকার মতো ঘরে ২৫ থেকে ৩০ জন গাদাগাদি করে থাকেন। একেকটি কক্ষের ভাড়া পড়ে মালয়েশিয়ান ৬০০ টাকা (আরএম)।
সিনার ডেইলি মালয়েশিয়ার প্রতিবেদনে বলা হয়, অভিযানের সময় কর্তৃপক্ষ একটি দোকানে অনলাইন জুয়ার ঘটনাও উন্মোচন করে, যা ক্যাফে হিসেবে পরিচালিত বলে মনে হচ্ছে।
জাকারিয়া দাতুক সতর্ক করে বলেন, আমরা এখানেই থামব না। বিদেশি নাগরিকদের জন্য হটস্পট হিসেবে পরিচিত এলাকাগুলিতে ধারাবাহিকভাবে নজরদারি করা হবে, সারা বছর ধরে অঘোষিত পরিদর্শন করা হবে।
জাকারিয়া আরও জানান, এই বছরের ১৬ এপ্রিল পর্যন্ত জেআইএম ৩ হাজার ৮৭০টি অভিযান পরিচালনা করেছে। এসব অভিযানে ২২ হাজার ৪৮৬ জন অনিবন্ধিত অভিবাসীকে আটক করা হয়েছে।
নদীবন্দর/জেএস