রাশিয়া থেকে তেল কেনার ‘অপরাধের’ শাস্তি হিসেবে ভারতের রপ্তানিকৃত পণ্যের ওপর ২৫ শতাংশ শুল্ক ও অনির্দিষ্ট জরিমানার ঘোষণা দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। মার্কিন প্রেসিডেন্টের নতুন এই হুমকির পর ভারতের পাশে দাঁড়িয়েছে রাশিয়া। মঙ্গলবার (৪ আগস্ট) রাশিয়া ভারতের উপর অবৈধ বাণিজ্য চাপ প্রয়োগের অভিযোগ করেছে।
বুধবার (৫ আগস্ট) রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ সাংবাদিকদের বলেন, আমরা এমন অনেক বক্তব্য শুনতে পাই যা আসলে হুমকিস্বরূপ, দেশগুলিকে রাশিয়ার সাথে বাণিজ্যিক সম্পর্ক ছিন্ন করতে বাধ্য করার প্রচেষ্টা। আমরা এই ধরনের বক্তব্যকে বৈধ বলে মনে করি না।
তিনি বলেন, আমরা বিশ্বাস করি যে সার্বভৌম দেশগুলির তাদের নিজস্ব বাণিজ্য অংশীদার, বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক সহযোগিতার জন্য অংশীদার নির্বাচন করার এবং একটি নির্দিষ্ট দেশের স্বার্থে বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক সহযোগিতার রূপগুলি নিজেদের জন্য বেছে নেওয়ার অধিকার থাকা উচিত এবং আছে।
এদিকে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আগামী শুক্রবার থেকে রাশিয়ার ওপর নতুন নিষেধাজ্ঞা আরোপের ঘোষণা দিয়েছেন। রাশিয়া যদি সাড়ে তিন বছর ধরে চলা ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে কার্যকর কোনও পদক্ষেপ না নেয় তাহলে এই নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হবে বলে জানিয়েছেন তিনি। পাশাপাশি রাশিয়ার কাছ থেকে যারা জ্বালানি কিনবে, তাদের ওপরও শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি।
যদিও ইউক্রেনের সঙ্গে চলা যুদ্ধ নিয়ে রাশিয়ার অবস্থানে কোনও ধরনের পরিবর্তনের ইঙ্গিত দেননি দেশটির প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।
এর আগে, সোমবার ট্রাম্পের হুমকিকে ‘‘অযৌক্তিক’’ আখ্যা দিয়ে নয়াদিল্লি বলেছে, তারা নিজেদের অর্থনৈতিক স্বার্থ রক্ষায় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। নয়াদিল্লির এমন অবস্থানের পর বিশ্বের দুই বৃহৎ অর্থনীতির দেশের মাঝে নতুন করে বাণিজ্যিক টানাপড়েন তৈরি হয়েছে।
ভারত সরকারের দুটি সূত্র ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেছে, ট্রাম্পের হুমকি সত্ত্বেও রাশিয়ার কাছ থেকে তেল কেনা চালিয়ে যাবে ভারত। ভারতের ওপর ইতোমধ্যে ২৫ শতাংশ রপ্তানি শুল্ক আরোপ করেছেন ট্রাম্প। যা আগামী ৭ আগস্ট থেকে কার্যকর হওয়ার কথা আছে।
নদীবন্দর/এএস