কক্সবাজারে যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক রাষ্ট্রদূত পিটার হাসের সঙ্গে বৈঠক করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নেতারা, এমন খবরে উত্তাল কক্সবাজারের পরিবেশ। একই সঙ্গে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক ট্রোল চলছে।
সারাদিন যখন বিষয়টি নিয়ে খুব বেশি আলোচনা চলছে, দিন শেষে তা নিয়ে মুখ খুলেছে ঢাকার মার্কিন দূতাবাস।
মার্কিন দূতাবাসের মুখপাত্র আশা বে মঙ্গলবার গণমাধ্যমকে বলেন, পিটার হাসের সঙ্গে আমাদের কোনো যোগাযোগ নেই। তিনি এখন একজন বেসরকারি নাগরিক। তিনি কোনো বৈঠকে অংশ নিচ্ছেন কি না, সে বিষয়ে আমার কাছে কোনো তথ্য নেই।
এদিকে, বিষয়টি নিয়ে ভিন্ন তথ্য পাওয়া গেছে। বর্তমানে ওয়াশিংটন ডিসিতে অবস্থান করছেন পিটার হাস। এক প্রতিবেদনে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে দেশের একটি গণমাধ্যম।
এর আগে এই ঘটনায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সমালোচনা শুরু হলে বিষয়টিকে গুজব বলে জানান এনসিপির মুখ্য সমন্বয়ক নাসিরুদ্দিন পাটওয়ারীও।
মূলত, জুলাই ঘোষণাপত্র পাঠের অনুষ্ঠানে এনসিপি নেতাদের একাংশ উপস্থিত না থাকায় সন্দেহ তৈরি হয়। বিষয়টি নিয়ে যখন নানা আলোচনা শুরু হয় তখন এক বার্তায় নেতাদের কক্সবাজার যাওয়ার কারণ জানান এনসিপির যুগ্ম সদস্য সচিব মুশফিকউস সালেহীন।
মুশফিকউস সালেহীন বলেন, জুলাই ঘোষণাপত্রের অনুষ্ঠানে এনসিপি’র ৩ জন আমন্ত্রণ পেয়েছেন। সেখানে যোগ দেবেন আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম, সদস্য সচিব আখতার হোসেন ও সিনিয়র যুগ্ম সদস্য সচিব নাহিদা সারওয়ার নিভা। লিঁয়াজো কমিটির অংশ হিসেবে এই উপদেষ্টা পরিষদ গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখলেও আমন্ত্রণ পাননি নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী।
তিনি জানান, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ১৫৮ জন সমন্বয়কের মধ্যে দাওয়াত পেয়েছেন হাতেগোনা কয়েকজন। স্থান সংকুলান হবে না দেখে নাকি সবাইকে দাওয়াত দেওয়া হয়নি। দাওয়াতপ্রাপ্তদের মধ্যে সারজিস আলম ও হাসনাত আবদুল্লাহ আছেন, কিন্তু অধিকাংশ সমন্বয়কদের বাদ দিয়ে এই অনুষ্ঠানে সমন্বয়ক হিসেবে যোগ দেওয়া তারা সমীচীন মনে করেননি।
এনসিপি নেতা আরও জানান, এক মাসে পুরো দেশে প্রায় ৮ হাজার কি.মি ঘুরতে গিয়ে শেষের দিকে আমরা অনেকেই অসুস্থ হয়ে যাই। হাসনাত একটু বেশিই অসুস্থ হয়, যেটা নিয়ে নিউজও হয়েছে। জ্বর, ঠান্ডা, কাশিতে ভুগেছে সারজিসও।
৩০ দিনে পুরো দেশে পদযাত্রা ও অগণিত সমাবেশ শেষ করে দুটো দিন এই ওয়েদারে কেউ যদি সমুদ্র পাড়ে ঘুরতে যায়, সেটা কি খুব অস্বাভাবিক? ৫ আগস্টেই, কারণ সরকারি অব্যবস্থাপনার কারণে আজকের রাষ্ট্রীয় আয়োজনে আমন্ত্রণ পাননি কেউ কেউ, যোগদান করা থেকে বিরত থাকছেন বাকিরা।
নদীবন্দর/জেএস