চার মাস বন্ধ থাকার পর কাপ্তাই হ্রদে ফের জাল ফেলার জন্য প্রস্তুত হচ্ছেন জেলেরা। ১ সেপ্টেম্বর (বুধবার) থেকে হ্রদে মাছ ধরতে চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি।
বিএফডিসির সূত্র জানায়, ১ মে থেকে ৩১ জুলাই পর্যন্ত কাপ্তাই হ্রদে মাছ ধরা নিষিদ্ধ করা হয়। তবে এবার হ্রদে পর্যাপ্ত পানি না থাকায় ১ আগস্টের পরিবর্তে তিন দফায় নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ বাড়িয়ে ১ সেপ্টেম্বর করা হয়।
সূত্র আরও জানায়, গত এক মাস আগে হ্রদে পানির পরিমাণ ছিল। এ কারণে হ্রদে অবমুক্ত করা পোনা মাছগুলো বেড়ে উঠার যথেষ্ট পানি না পাওয়ায় বিএফডিসির পরামর্শে জেলা প্রশাসন তিন মেয়াদে এক মাস হ্রদে মাছ আহরণের নিষেধাজ্ঞা বাড়ায়।
জেলেপল্লী ঘুরে দেখা গেছে, জেলেরা নৌকার আনুষঙ্গিক কাজ শেষ করে রেখেছেন হ্রদের পাড়ে। কেউবা মাছ পরিবহনের বোটে রং লাগানোর কাজে ব্যস্ত দিন পার করছেন। বসে নেই নারীরাও। পুরুষের পাশাপাশি ঘরে বাইরে চলছে জাল সেলাইয়ের কাজ। পুরাতন জাল সংস্কার বা নতুন জাল সেলাইয়ে ব্যস্ত তারা।
সেখানকার জেলে মতিলাল দাস বলেন, তিন মাসের জায়গায় চার মাসের নিষেধাজ্ঞা শেষে আমরাও প্রস্তুতি নিচ্ছি হ্রদে মাছ ধরার। এবার চার মাস বন্ধ থাকায় আশানুরূপ মাছ পাওয়া যাবে।
সাজু দাস নামের আরেক জেলে বলেন, চার মাস হ্রদে মাছ ধরা বন্ধ থাকায় মানবেতর জীবন কাটাতে হচ্ছে। সরকার তিন মাসে ২০ কেজি করে ৬০ কেজি চাল দিয়েছে। বাড়তি এক মাস বন্ধ রেখেছে তার জন্য কোনও চাল দেয়নি। আমরা কিভাবে চলি সে খবর কেউ রাখে না।
রাঙামাটি মৎস্য ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক উদয়ন বড়ুয়া বলেন, হ্রদে পানির অবস্থা অনুযায়ী তিন মাসের বদলে চার মাস মাছ আহরণ বন্ধ রাখায় আশা করছি এবার ভালো মাছ পাওয়া যাবে।
বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন করপোরেশনের (বিএফডিসি) রাঙামাটি অঞ্চলের উপ-ব্যবস্থাপক (মার্কেটিং) জাহেদুল ইসলাম বলেন, পানি কম থাকলেও স্থানীয় অর্থনীতিসহ জেলে ও ব্যবসায়ীদের কর্মসংস্থানের বিষয়টি মাথায় রেখে নিষেধাজ্ঞা বৃদ্ধি করা হচ্ছে না। আশা করছি এবার চার মাস মাছ আহরণ বন্ধ থাকায় বাকি সময়গুলোতে ভালো মাছ পাওয়া যাবে।
নদী বন্দর / সিএফ