পতিত আওয়ামী লীগ সরকারের সংসদের ডেপুটি স্পিকার শামসুল হক টুকুর জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) লক করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
বৃহস্পতিবার (১৯ জুন) ইসি সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
এ বিষয়ে জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগের মহাপরিচালক এ এস এম হুমায়ুন কবীর গণমাধ্যমকে বলেন, দুর্নীতি দমন কমিশনের চিঠির প্রেক্ষিতে এনআইডি লক করা হয়েছে। এটি আমাদের রুটিন কাজ।
গত বছরের ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার পতনের পর চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে তিনিসহ তার পরিবারের ১০ সদস্যের এনআইডি ব্লক করে ইসি। শেখ হাসিনা ছাড়া অন্যরা হলেন- সজীব আহমেদ ওয়াজেদ, সায়মা ওয়াজেদ, শেখ রেহানা, টিউলিপ রিজওয়ানা সিদ্দিক, আজমিনা সিদ্দিক, শাহিন সিদ্দিক, বুশরা সিদ্দিক, রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক এবং তারিক আহমেদ সিদ্দিক।
দেশে ২২ ধরনের সেবা পেতে প্রয়োজন হয় জাতীয় পরিচয়পত্র। এর মধ্যে রয়েছে- আয়করদাতা শনাক্তকরণ নম্বর পাওয়া, শেয়ার আবেদন ও বিও হিসাব খোলা, গ্যাস-পানি-বিদ্যুতের সংযোগ, সরকারি বিভিন্ন ভাতা উত্তোলন, ড্রাইভিং লাইসেন্স করা ও নবায়ন। ট্রেড লাইসেন্স করতেও লাগে এনআইডি।
এছাড়া ই-টিকেটিং, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভর্তি, আসামি ও অপরাধী শনাক্তকরণ, বিজনেস আইডেনটিফিকেশন নম্বর পাওয়া ও সিকিউরড ওয়েব লগে ইন করার ক্ষেত্রে জাতীয় পরিচয়পত্রের নম্বর লাগবে। কেউ সরকারি ভর্তুকি, সাহায্য ও সহায়তা নিতে চাইলেও প্রয়োজন জাতীয় পরিচয়পত্রের।
এছাড়া পাসপোর্ট করা ও নবায়ন, যানবাহন রেজিস্ট্রেশন, চাকরির আবেদন, বিমা স্কিমে অংশগ্রহণ, স্থাবর সম্পত্তি ক্রয়-বিক্রয়, বিয়ে ও তালাক রেজিস্ট্রেশন, ব্যাংক হিসাব খোলা, নির্বাচনে ভোটার শনাক্তকরণ, ব্যাংকঋণ, টেলিফোন ও মোবাইলের সংযোগেও এনআইডির প্রয়োজন রয়েছে।
এনআইডি যাদের স্থগিত বা লক করা হয়, তারা এসব সুবিধা থেকে বঞ্চিত হন।
নদীবন্দর/ইপিটি