দেশের উত্তর, উত্তর-মধ্যাঞ্চল ও মধ্যাঞ্চলের ১১ জেলার চলমান বন্যা পরিস্থিতির অবনতি অব্যাহত থাকতে পারে। মঙ্গলবার সকালে ছয়টি নদীর পানি ১৪টি পয়েন্টে বিপৎসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল।
মঙ্গলবার (৩১ আগস্ট) বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র বৃষ্টিপাত ও নদনদীর অবস্থার প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
প্রতিবেদনে নদ-নদীর পরিস্থিতি ও পূর্বাভাসে জানানো হয়, ব্ৰহ্মপুত্র-যমুনা নদ-নদীর পানি বাড়ছে, যা আগামী ৪৮ ঘণ্টা পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে।
গঙ্গা-পদ্মার পানি বাড়ছে জানিয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়, পানি বাড়ার এই ধারা আগামী ৪৮ ঘণ্টা পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে। একই সঙ্গে খোয়াই ছাড়া দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের আপার মেঘনা অববাহিকার প্রধান নদীগুলোর পানি কমছে, এই ধারা আগামী ৪৮ ঘণ্টা পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে বলেও প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।
‘আগামী ২৪ ঘণ্টায় কুড়িগ্রাম, গাইবান্ধা, জামালপুর, বগুড়া, টাঙ্গাইল, সিরাজগঞ্জ, পাবনা, মানিকগঞ্জ, রাজবাড়ী, শরীয়তপুর ও ফরিদপুর- এই ১১ জেলার নিম্নাঞ্চলের বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হতে পারে।’
আগামী ২৪ ঘণ্টায় পদ্মা নদী ভাগ্যকূল পয়েন্টে বিপৎসীমা পার হতে পারে বলেও জানায় বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র।
পদ্মা নদীর পানি গোয়ালন্দ, ধলেশ্বরীর পানি এলাসিন ও আত্রাই নদীর পানি বাঘাবাড়ী পয়েন্টে বিপৎসীমার উপর দিয়ে বইছে।
যমুনা নদীর পানি আরিচা, মথুরা, পোড়াবাড়ি, সিরাজগঞ্জ, কাজিপুর, সারিয়াকান্দি, বাহাদুরাবাদ, সাঘাটা, ফুলছড়িতে বিপৎসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এছাড়া ব্ৰহ্মপুত্রের পানি চিলমারী ও ধরলার পানি কুড়িগ্রামে বিপৎসীমা পেরিয়ে গেছে।
বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর পূর্বাভাসে জানিয়েছে, মঙ্গলবার সকাল ৬টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় রংপুর, রাজশাহী, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় এবং রাজশাহী, ঢাকা, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। একই সঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে মাঝারি ধরনের ভারি থেকে ভারি বৃষ্টি হতে পারে।
নদী বন্দর / সিএফ