রাজশাহীতে পদ্মা নদীর পানি বিপৎসীমার কাছাকাছি পৌঁছেছে, ফলে জেগে ওঠা চরগুলো তলিয়ে গেছে। চরবাসীরা গবাদিপশু ও মালপত্র নিয়ে নিরাপদ আশ্রয়ের জন্য লোকালয়ে চলে যাচ্ছেন।
সোমবার (১১ আগস্ট) সন্ধ্যায় রাজশাহী পয়েন্টে পদ্মার পানি ছিল ১৭ দশমিক ৩৯ মিটার, যা বিপৎসীমা ১৮ দশমিক ০৫ মিটারের মাত্র ০ দশমিক ৬৬ মিটার নিচে। গত ২৪ ঘণ্টায় পানির উচ্চতা বেড়েছে ০ দশমিক ১৭ মিটার। পানি বৃদ্ধির কারণে নিরাপত্তার স্বার্থে টি-বাঁধ পরিদর্শন বন্ধ করেছে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) এবং নদীর তীরের ব্যবসায়ীদের সরতে বলেছে।
পাউবো সূত্র জানায়, ২৪ জুলাই থেকে পদ্মার পানি বাড়তে শুরু করে। সেদিন পানির উচ্চতা ছিল ১৬ দশমিক ৩৫ মিটার। পরে কিছুটা কমলেও ৩১ জুলাই থেকে আবার বৃদ্ধি শুরু হয় এবং এখনো তা অব্যাহত রয়েছে। এর ফলে চরাঞ্চল প্লাবিত হয়ে পড়েছে, গবাদিপশু ও মালপত্র সরিয়ে লোকালয়ে নিয়ে যাচ্ছেন বাসিন্দারা।
চর খিদিরপুরের বাসিন্দা গাজী তরিকুল ইসলাম বলেন, ‘পানি বেড়ে চরগুলো ডুবে গেছে। অধিকাংশ মানুষ লোকালয়ে চলে এসেছে, গবাদিপশুর জন্য খাবারের সংকট দেখা দিয়েছে।’
স্থানীয় বাসিন্দা ইমতিয়াজ মেহেদী হাসান বলেন, ‘প্রতিদিনই পানি বাড়ছে। মানুষ নৌকায় করে মালামাল সরিয়ে নিচ্ছে—কেউ আত্মীয়ের বাড়িতে, কেউ ভাড়া বাসায় উঠছেন। যাদের গবাদিপশু আছে তারা সবচেয়ে বেশি সমস্যায় আছেন, এখনও অনেক পশু চরে রয়ে গেছে।’
পবা উপজেলার হরিয়ান ইউনিয়নের সদস্য মো. সহিদুল বলেন, ‘বেশ কয়েকটি চর তলিয়ে গেছে, অনেকের বাড়ির কাছাকাছি পানি চলে এসেছে। গবাদিপশু সরানো নিয়েই সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগ।’
পানি উন্নয়ন বোর্ডের গেজ রিডার গেজ রিডার এনামুল হক বলেন, সোমবার সন্ধ্যায় রাজশাহী পয়েন্টে পানির উচ্চতা ছিল ১৭ দশমিক ৩৯ মিটার, যা বিপৎসীমার একেবারে কাছাকাছি।
নদীবন্দর/জেএস