ইথিওপিয়ার সেনাবাহিনী দাবি করেছে তারা যুদ্ধপ্রবণ টাইগ্রে অঞ্চলে সাড়ে পাঁচ হাজারের বেশি বিদ্রোহীকে হত্যা করেছে। দেশের যুদ্ধপ্রবণ উত্তরাঞ্চলে দীর্ঘদিন ধরেই সেনাবাহিনীর সঙ্গে বিদ্রোহীদের সংঘর্ষ চলছে। গত বছরের নভেম্বর থেকেই সংঘাতে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে ওই অঞ্চল।
টাইগ্রেতে বিদ্রোহী নিহতের বিষয়টি দাবি করলেও সেনাবাহিনীর শীর্ষ জেনারেল বাচা দেবেলে এটা নিশ্চিত করেননি যে, এই হতাহতের সংখ্যা কতদিনের। তবে ধারণা করা হচ্ছে এই সংখ্যা সাম্প্রতিক সময়েরই। ওই সামরিক কর্মকর্তা আরও জানিয়েছেন, সংঘর্ষে আরও দুই হাজার তিনশো বিদ্রোহী আহত হয়েছে এবং আরও দুই হাজার বিদ্রোহীকে আটক করা হয়েছে। এদিকে জাতিসংঘ বলছে, ওই অঞ্চলের কয়েক লাখ মানুষ দুর্ভিক্ষের কবলে পড়েছে।
এর আগে গত জুনে জাতিসংঘের মানবিক সহায়তা কার্যক্রম সমন্বয় সংস্থা ইউএনওসিএইচএ-এর প্রধান মার্ক লোকক বলেন, দুর্ভিক্ষ আরও প্রকোট আকার ধারণ করতে পারে। ছড়িয়ে পড়তে পারে পার্শ্ববর্তী আমহারা ও আফার এলাকায়। এমন পরিস্থিতিতে সেখানে শিগগিরই মানবিক সাহায্য পাঠানোর আহ্বান জানান তিনি।
শান্তিতে নোবেলজয়ী আবি আহমেদ ২০১৮ সালে ইথিওপিয়ার প্রধানমন্ত্রী হন। এর আগ পর্যন্ত ওই অঞ্চলের রাজনীতির নিয়ন্ত্রণ ছিল টাইগ্রে পিপলস লিবারেশন ফ্রন্ট বা টিপিএলএফের হাতে। সংগঠনটি ১৯৯১ সালে সামরিক সরকারকে উৎখাত করে ক্ষমতা দখল করে। কিন্তু ২০২০ সালে ইথিওপিয়ার সেনাবাহিনী এবং টিপিএলএফ-এর মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ হয়। তারপর থেকে এখন পর্যন্ত ওই অঞ্চলে বিশৃঙ্খলা বিরাজ করছে।
এদিকে লে. জেনারেল দেবেলে অভিযোগ করেছেন টিপিএলএফ ইথিওপিয়াকে বিভক্ত করার চেষ্টা করছে। তিনি বলেন, টাইগ্রে এবং আমহারার সীমান্তবর্তী হুমেরা অঞ্চলের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার চেষ্টা করছে বিদ্রোহীরা। তবে এ বিষয়ে টিপিএলএফ-এর পক্ষ থেকে কোনো মন্তব্য করা হয়নি।
নদী বন্দর / এমকে