যশোর জেলার বিভিন্ন এলাকায় মাঠে মাঠে চাষ হচ্ছে শীতকালীন সবজি হিসেবে পরিচিত বাঁধাকপি। এইসব ক্ষেতের পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছে চাষীরা। শীতের সবজির আগাম চাষ করে লাভের আশা করছেন কৃষকরা। ফলন কম হলেও মূল্য বেশি থাকায় প্রতিবছর আগাম এই সময়টুকু কাজে লাগিয়ে লাভবান হতে চায়। এবারো তার ব্যতিক্রম নয়। যশোর সদর উপজেলার চুড়ামনকাঠি, বেলতলা, হামিদপুর, ফতেপুর, ঝিকরগাছার ছুটিপুর, আটুলিয়া, গুলবাকপুর, কায়েমকোলা, গদখালী, পানিসারা, চৌগাছা উপজেলার পাতিবিলা, হাকিমপুর, পুড়াপাড়া, মনিরামপুর ও রাজগঞ্জে বাঁধাকপি চাষ করেছেন কৃষক।
জানা গেছে, জেলার চাহিদা পূরণ করে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় সরবরাহ করে ইতোমধ্যে অনেকেই লাভবান হয়েছেন। গত বছর দেশ ডিঙ্গিয়ে এই বাঁধাকপি বিদেশে রপ্তানী করা হয়েছিল। এবারো কৃষক সেই আশাতে বুঁক বেঁধেছে। লাভবান হওয়া চাষিদের দেখে অন্য অনেক চাষী এবার ঝুঁকেছেন বাঁধাকপি চাষে। মাটির ঊর্বরতা শক্তি ও আবহাওয়া সবজি চাষের জন্য উপযোগী হওয়াই যশোরে বছরের ১২ মাসই চাষ হয় বিভিন্ন জাতের বাঁধাকপি, ফুলকপিসহ নানা ধরনের সবজি। তবে এই সময়ের চাষটা সম্পুর্ন ব্যতিক্রম।
কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তর কর্তারা জানায়, অসময়ে বাঁধাকপি চাষে কৃষকদের উৎসাহিত করতে কৃষকদের নানা পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। তাদেরকে উচ্চ ফলনশীল বীজ ও সার সরবরাহ করা হয়েছে। কীটণাশক প্রয়োগ সম্পর্কে নানা পরামর্শ দেয়া হয়েছে। আগাম বাঁধাকপি চাষে লাভের আশায় কৃষকরা বাঁধাকপি চাষে আগ্রহী হয়ে উঠেছেন।
জেলার কৃষি কর্মকর্তারা জানান, বৈজ্ঞানিক উপায়ে পরিশ্রমী চাষিরা আগাম জাতের সব্জী চাষ করে লাভবান হওয়ায় চাষিরা ধানের পরিবর্তে সব্জী চাষ করেন বেশি।
নদী বন্দর / এমকে