জুলাই অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি ও দেশ গড়তে জুলাই পদযাত্রার অংশ হিসেবে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) কেন্দ্রীয় নেতারা আজ ফেনী আসছেন। এ উপলক্ষ্যে প্রস্তুত হয়েছে পথসভার মঞ্চ। শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়কগুলো ছেয়ে গেছে তোরণ, ব্যানার-ফেস্টুন ও বিলবোর্ডে। কর্মসূচি সফল করতে দলটির নেতাকর্মীদের মধ্যে দেখা যাচ্ছে চাঞ্চল্য।
সোমবার (২১ জুলাই) দুপুর ১২টার দিকে শহরের ট্রাংক রোডে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে গিয়ে এমন চিত্র দেখা গেছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, সভাস্থলের আশপাশে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কঠোর নজরদারি রয়েছে। শহরের সড়ক বিভাজক, চত্বর, খুঁটি ও রেলিং ঘেঁষে লাগানো হয়েছে সমাবেশের ফেস্টুন-বিলবোর্ড।
বিকেল ৫টায় এনসিপির কেন্দ্রীয় নেতাকর্মীদের খাগড়াছড়ি জেলার কর্মসূচি শেষ করে ফেনী আসার কথা রয়েছে। সেখান থেকে পদযাত্রা করতে করতে মহিপালের উদ্দেশ্যে যাবেন তারা। পথসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখবেন জাতীয় নাগরিক পার্টির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম। প্রধান বক্তা থাকবেন দলের সদস্যসচিব আখতার হোসেন। এতে এনসিপির দক্ষিণ অঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ, উত্তর অঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম, এনসিপির মুখ্য সমন্বয়ক নাসির উদ্দীন পাটওয়ারী, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক সামান্তা শারমিন ও আরিফুল ইসলাম আদিব, সিনিয়র যুগ্ম সদস্যসচিব ডা. তাসনীম জারা ও নাহিদা সারোয়ার নিভা, সিনিয়র যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক আব্দুল হান্নান মাসউদ, কেন্দ্রীয় সংগঠক আজিজুর রহমান রিজভী, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য এহসানুল মাহবুব জোবায়েরসহ কেন্দ্রীয়, জেলা ও উপজেলার নেতাকর্মীরা উপস্থিত থাকবেন।
এনসিপির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য এহসানুল মাহবুব জোবায়ের বলেন, এনসিপির কর্মসূচি ঘিরে অনেকে বিতর্কিত রাজনৈতিক বক্তব্য দিয়েছে। এসব বিষয়ে বিএনপি-জামায়াতসহ রাজনৈতিক দলের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে আমরা কথা বলেছি। পাশাপাশি দলের পক্ষ থেকে পুলিশ, র্যাব, সেনাবাহিনীসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে সার্বক্ষণিক পরিস্থিতি সম্পর্কে অবহিত করছি। সার্বিক নিরাপত্তা নিয়ে আমরা শঙ্কিত নই।
এনসিপির জেলা সংগঠক আবদুল্লাহ আল জুবায়ের বলেন, আমাদের সবধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। গত কয়েকদিন ধরে জেলাজুড়ে প্রচার-প্রচারণা চালানো হয়েছে। এনসিপির নেতাকর্মী ও সমর্থকদের মধ্যে উৎসাহ-উদ্দীপনা বিরাজ করছে। ট্রাংক রোডের কর্মসূচি শেষে গেল বছরের ৪ আগস্ট আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা মহিপালে যে হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছে সেখানে কেন্দ্রীয় নেতারা আরও একটি পথসভায় যোগ দেবেন। পরে সার্কিট হাউজে জুলাই অভ্যুত্থানে শহীদ পরিবার ও আহতদের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে তারা নোয়াখালীর উদ্দেশ্যে রওনা দেবেন।
নদীবন্দর/ইপিটি