1. badsha.dru@gmail.com : admi2017 :
  2. nadibandar2020@gmail.com : Nadi Bandar : Nadi Bandar
শসা ছেড়ে তরমুজ চাষে ঝুঁকছেন খুলনার কৃষকরা - Nadibandar.com
বুধবার, ৩০ অক্টোবর ২০২৪, ০৩:০৭ পূর্বাহ্ন
নদী বন্দর প্রতিনিধি:
  • আপডেট টাইম : রবিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২১
  • ১৩৩ বার পঠিত

শসা চাষে লাভ কম তাই দিন দিন খুলনায় কমে যাচ্ছে এর চাষ। ফলে তরমুজ চাষের দিকে ঝুঁকছেন খুলনায় শসা চাষের জন্য বিখ্যাত তেরখাদা উপজেলার কৃষকরা। ঘেরের আইলে উৎপাদিত শসার চেয়ে মৌসুম ছাড়া উৎপাদিত তরমুজ চাষ বেশি লাভজনক।

অন্যদিকে স্থানীয় কৃষি অফিস থেকেও তরমুজ চাষে কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে। ফলে গত বছরের তুলনায় এ বছর প্রায় দশগুণ বেশি জমিতে তরমুজ উৎপাদন হচ্ছে।

খুলনার কৃষি অধিদপ্তরের সূত্র অনুযায়ী, খুলনার শষ্যভান্ডার হিসেবে ডুমুরিয়া উপজেলার ব্যাপক পরিচিতি থাকলেও শসা উৎপাদনে সব সময় এগিয়ে রয়েছে জেলার তেরখাদা উপজেলা। এখানকার শসা দেশের সীমানা পেরিয়ে বিদেশেও রপ্তানি হচ্ছে।

 

কিন্তু দিনকে দিন দাম কমে যাওয়ায় কৃষকরা শষা উৎপাদনে আগ্রহ হারিয়ে ফেলছেন। এ ছাড়া শসা উৎপাদনে বেশি পরিমাণে সার ও কীটনাশক ব্যবহার করতে হয়। ফলে মাটির উর্বরা শক্তি কমে যায়। পানির ক্ষতি হওয়ায় মাছের উৎপাদনও কমে যায়।

তেরখাদা কৃষি অফিস সূত্র অনুযায়ী, গত বছর তেরখাদা উপজেলায় মাত্র দেড় একর জমিতে (ঘেরের ভেড়িতে) তরমুজ উৎপাদন হয়। ওই বছরই ভালো দাম পান কৃষকরা। ফলে এবার উপজেলার আজুগড়া, শ্রীপুর, কাটেঙ্গা, নেবুদিয়া, পারেরখালি এলাকায় তিন হেক্টর জমিতে মৌসুম ছাড়া তরমুজ উৎপাদন হচ্ছে।

 

শ্রীপুরের তরমুজ উৎপাদনকারী খুলনা মহানগর যুবলীগের আহবায়ক শফিকুর রহমান পলাশ, পারেরখালির মোস্তাফিজুর রহমান, কাটেঙ্গার শাকিলসহ অর্ধশত কৃষক এবার মৌসুম ছাড়া তরমুজ চাষ করছেন।

শ্রীপুর এলাকার কৃষক শফিকুর রহমান পলাশ বলেন, তেরখাদা উপজেলা শসা চাষের জন্য বিখ্যাত। কিন্তু এখান শসায় আর লাভ হচ্ছে না। চাষের খরচ বেড়েছে, সার কীটনাশকের দামও বেড়েছে। শসা চাষ করতে সার আর কীটনাশক বেশি প্রয়োজন।

 

কিন্তু শসার দাম এতো কম যে, মাঝে মাঝে কৃষকরা শসা ডোবায় ফেলে দেয়। আগাম চাষ না করলে দাম পাওয়া যায় না। কিন্তু তাও উৎপাদন খরচের তুলনায় বেশি না। ফলে কৃষকরা ডুমুরিয়া উপজেলার মতো তেরখাদায়ও মৌসুম ছাড়া তরমুজ চাষে ঝুঁকেছেন। তিনি বলেন, এবার তিনি ৬ বিঘা জমির ভেড়িতে তরমুজ চাষ করেছেন। ইতিমধ্যে বিক্রিও শুরু হয়েছে। দাম গতবারের তুলনায় একটু কম হলেও তাতে লাভ হচ্ছে।

পারেরখালির মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, তরমুজ চাষে শসার চেয়ে লাভ বেশি। তাছাড়া সার আর কীটনাশকও কম লাগে। একই কথা জানালেন কাটেঙ্গা এলাকার শাকিল, রাশেদ, আনিসরা। তারা বলেন, তরমুজ এই এলাকায় নতুন করে উৎপাদন হওয়ায় কৃষি অফিস থেকে অনেক সহযোগীতা করা হচ্ছে তাদেরকে।

 

তেরখাদা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, মৌসুম ছাড়া তরমুজ চাষ করে কৃষকরা ভালো ফলন পাচ্ছেন। যা শসার তুলনায় অনেক বেশি। এমনও হয়েছে যে, এক সপ্তাহ আগে যে শসা ১৫ থেকে ১৬ শত টাকা মণ বিক্রি হয়েছে, এক সপ্তাহ পরে গিয়ে সেই শসা ৩ শত টাকায় নেমে এসেছে। এতে কৃষক ভীষণ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। ফলে শসা ছেড়ে এবার কৃষকরা মৌসুম ছাড়া তরমুজ চাষে বেশি আগ্রহী হয়েছেন।

এই কৃষি কর্মকর্তা বলেন, তরমুজ চাষ করার জন্য কৃষকদের সব ধরনের সহযোগীতা করা হচ্ছে। তাদেরকে বীজও দেওয়া হয়েছে। পরামর্শ প্রদান করা হচ্ছে প্রতিনিয়ত। তরমুজে রোগ বালাই কম হওয়ায় কীটনাশকের ব্যবহার খুব সীমিত। এতে ঘেরের মাছের তেমন ক্ষতিও হচ্ছে না। তিনি বলেন, আগামীতে তেরখাদায় তরমুজের চাষ আরও বৃদ্ধি পাবে।

নদী বন্দর / পিকে

 

 

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved © 2020 Nadibandar.Com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com