পূর্বের কয়েক বছরে লাভ হওয়ায় যশোরের চৌগাছা উপজেলায় আধুনিক পদ্ধতিতে হাইব্রিড মুলা চাষে কৃষকের আগ্রহ বেড়েছে। মাত্র ত্রিশ থেকে চল্লিশ দিনে বিঘা প্রতি ৪০ হাজার টাকা পর্যন্ত লাভবান হচ্ছেন কৃষক। শীতের আগেই আগাম মুলা চাষে কৃষক গত কয়েক বছর বেজায় লাভবান। এবারো একই লাভের আশায় উপজেলার সকল মাঠে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক চাষী আগাম মুলা চাষ করেছেন।
উপজেলার লস্কারপুর মাঠে গিয়ে দেখা যায় শতাধিক বিঘা জুড়ে শুধুই মুলা। বিভিন্ন জাতের হাইব্রিড মুলা চাষ করেছেন কৃষকরা। তবে সাধারণ মুলা চাষের চেয়ে মাঠটির ব্যতিক্রম হলো এ মাঠের সব কৃষকই বেড আকারে মুলা চাষ করেছেন। এতে বর্ষার পানি দুই বেডের মাঝখান দিয়ে রাখা ড্রেন দিয়ে নিস্কাশন হচ্ছে। এতে পানি জমে মুলার কোন ক্ষতি হয় না।
সরেজমিনে মাঠে দেখা যায়, লস্কারপুর গ্রামের কৃষক সাহেব আলী দুটি খন্ডে এক বিঘা (৩৩ শতাংশে বিঘা) জমিতে হাইব্রিড মুলা চাষ করেছেন। দশ কাঠা জমি থেকে কুড়ি মণ মুলা বিক্রি করেছেন কুড়ি হাজার টাকায়। ক্ষেতে যে মুলা রয়েছে তাতে আরো ৫ মনের অধিক বিক্রি করা যাবে।
একই মাঠের চাষি খেদের আলী, সুজা উদ্দিন, মতিয়ার রহমান জানান, হাইব্রিড মুলা চাষে লাভ বেশি। এজন্য দেশি জাত ছেড়ে হাইব্রিড মুলা চাষ করেছি। মাঠে উপস্থিত থাকা কৃষকরা জানান, এবছর বিঘাপ্রতি প্রায় পঞ্চাশ মণ করে মুলা হয়েছে। কিছু ক্ষেতে তার চেয়েও বেশি হয়েছে। জমি চাষ থেকে মুলা উঠানো পর্যন্ত ৭/৮ হাজার টাকা খরচ হচ্ছে। ৫০ মণ মুলার বর্তমান পাইকারি মূল্য ৫০ হাজার টাকা। ফলে এক বিঘা জমিতে মুলা চাষ করে ৩০ থেকে ৪০ দিনে ৪০ হাজার টাকা লাভ হচ্ছে।
ক্ষেত থেকে পাইকারি মূলা ক্রেতা মিল্টন হোসেন শ্রমিকদের সাথে নিজেই মুলা গাড়িতে উঠাচ্ছিলেন। তিনি বলেন, আমরা এক হাজার টাকা মণ দরে ক্রয় করেছি, আমরা আড়তে বিক্রি করবো। সেখান থেকে খুচরা বিক্রেতারা কিনে বিক্রি করবেন। তিনি জানান, বাজারে খুচরা ৩৫/৪০ টাকা কেজি দরে মুলা বিক্রি হচ্ছে।
উপজেলা কৃষি অফিসের তথ্য প্রদানকারী কর্মকর্তা উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা (এসএএও) রাশেদুল ইসলাম বলেন, উপজেলায় চায়না, চাষা কৃষাণসহ বিভিন্ন জাতের মুলা চাষ করেছেন কৃষকরা। তিনি জানান, আবহাওয়া ভালো থাকায় মুলার ফলন ভালো হয়েছে।
নদী বন্দর / জিকে