বলিউডে নতুন প্রজন্মের সুপারস্টার আলিয়া ভাট। বেশ কিছু সিনেমা দিয়ে তিনি এরইমধ্যে দর্শকের মনে অন্যরকম জায়গা করে নিয়েছেন। তাকে দেখা হয় সম্মানের চোখেও, একজন গুণী অভিনেত্রী হিসেবে। সেই আলিয়া এবার তুমুল বিতর্কের মুখে পড়ে গেলেন।
সম্প্রতি একটি বিজ্ঞাপনচিত্রে কাজ করেছেন আলিয়া। সেটি প্রচারে এসেছে। আর তারপর থেকেই রয়েছে বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দুতে।
একটি পোশাক প্রস্তুতকারী সংস্থার জন্য বিজ্ঞাপনটি করেছিলেন আলিয়া। দাবি করা হচ্ছে এতে হিন্দু ধর্মের অসম্মান করা হয়েছে।
গত সপ্তাহেই প্রকাশ্যে এসেছে বিজ্ঞাপনটি। যেখানে আলিয়াকে কনের সাজে দেখা যাচ্ছে। বিয়ের মণ্ডপে বসে কনের দৃষ্টিভঙ্গী বোঝানোর চেষ্টা করেন অভিনেত্রী। এর মধ্যেই কন্যাদানের প্রসঙ্গটি ওঠে। তখনই প্রশ্ন তোলা হয় কন্যা কীভাবে দানের সামগ্রী হতে পারে? ‘কন্যাদান’ নয় ‘কন্যামান’ হোক। এই বার্তা দিয়েই শেষ হয় বিজ্ঞাপনটি।
কন্যাদান নিয়ে এই মন্তব্যের জেরেই বিজ্ঞাপন নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। নেটদুনিয়ার একাংশের অভিযোগ, আলিয়ার এই বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে হিন্দু ধর্মের বিরুদ্ধে প্রচার করা হচ্ছে। কেউ কেউ দাবি করছেন, হিন্দু ধর্মে কন্যাদান মানে কন্যাকে দান নয়, বরং কন্যার জন্য দান। বিষয়টিকে নোংরাভাবে বিজ্ঞাপনে তুলে ধরা হয়েছে।
আরও অভিযোগ, যে ঐতিহ্যের দোহাই দিয়ে এই সংস্থা পোশাক বিক্রি করে তারই অপমান কর হয়েছে বিজ্ঞাপনে। হিন্দু রীতি মেনে বিয়েই যদি না হয়, তাহলে সংস্থার পোশাক কারা পরবেন? এমন প্রশ্নও তোলা হয়।
শুধু তাই নয়, কঙ্গনা রানউতের মতো অভিনেত্রীও এই বিজ্ঞাপন ও আলিয়া ভাটের কড়া সমালোচনা করেছেন।
তবে বিজ্ঞাপন কর্তৃপক্ষ ও আলিয়া এ নিয়ে মুখ খুলেননি।
নদী বন্দর / সিএফ