ইকুয়েডরে কারাগারে দাঙ্গার ঘটনায় এখন পর্যন্ত কমপক্ষে ১১৬ জন নিহত হয়েছে। স্থানীয় কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, প্রতিদ্বন্দ্বী গ্যাংয়ের সদস্যদের মধ্যে সংঘর্ষে দাঙ্গা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। দেশটির ইতিহাসে কারাগারে সবচেয়ে ভয়াবহ দাঙ্গার ঘটনা এটি।
মঙ্গলবার গুয়াইয়াকিল শহরের একটি কারাগারে দাঙ্গার সময় কমপক্ষে পাঁচ বন্দিকে শিরশ্ছেদ করে হত্যা করা হয়েছে। অপরদিকে অন্যদের গুলি করে মারা হয়েছে। পুলিশ কমান্ডার ফাউস্তো বুয়েনানো জানিয়েছেন, বেশ কয়েকজন বন্দি গ্রেনেড ছুরে মেরেছে।
দাঙ্গার পর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে প্রায় ৪শ পুলিশ কর্মকর্তাকে মোতায়েন করা হয়। দেশটির কারাগারে চলতি বছর এ নিয়ে তৃতীয়বারের মতো ভয়াবহ দাঙ্গার ঘটনা ঘটল। গত কয়েক মাসে এই কারাগারের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে অপরাধী গোষ্ঠীগুলোর মধ্যে দফায় দফায় দাঙ্গার ঘটনা ঘটছে।
দাঙ্গার পর কারাগার থেকে লোকজনকে সরিয়ে নেওয়া হয়। পরে সেখানে সামরিক কর্মকর্তাদের মোতায়েন করা হয়। বর্তমানে পরিস্থিতি নিরাপত্তা বাহিনীর নিয়ন্ত্রণে রয়েছে বলে জানানো হয়েছে। লস লোবোস এবং লস কোনেরোস গ্যাংয়ের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।
স্থানীয় গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মেক্সিকোর শক্তিশালী মাদক পাচারকারী চক্রের নির্দেশেই এই দাঙ্গা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। এসব পাচারকারী এখন ইকুয়েডরে কাজ করছে।
ইকুয়েডরের কারাগারের সেবা বিষয়ক পরিচালক বোলিভার গারজন স্থানীয় রেডিওকে বলেন, ভয়াবহ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল।
তিনি বলেন, গতকাল পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার পর রাতে আবারও গোলাগুলি এবং বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। পরে আজ সকালে আমরা পরিস্থিতি পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে এনেছি।
এর আগে গত ফেব্রুয়ারিতে ইকুয়েডরের অপর একটি কারাগারে দাঙ্গার ঘটনায় কমপক্ষে ৭৯ জন নিহত হয়। এছাড়া গত জুলাই মাসে অন্য একটি কারাগারে ২২ জন নিহত হয়েছিল। রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, ইকুয়েডরের কারাগারে ৩৯ হাজার বন্দি রয়েছে।
নদী বন্দর / পিকে