প্রথম ইনিংসে অন্যান্য বোলারদের উজ্জ্বল পারফরম্যান্সের ভিড়ে খরুচে বোলিং করেছিলেন রবিচন্দ্রন অশ্বিন। দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট হাতে সেই ক্ষতি পুষিয়ে দিয়েছেন দিল্লি ক্যাপিট্যালসের এই তারকা ক্রিকেটার। তার শেষ ওভারের ছক্কায় টেবিল টপার চেন্নাইয়ের পাশে বসেছে দিল্লি।
শারজাহ আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে আগে ব্যাট করে ৮ উইকেটে ১২৯ রান করেছিলো মুম্বাই। জবাবে ৬ উইকেট হারালেও ৫ বল হাতে রেখেই ম্যাচ জিতে নিয়েছে রিশাভ পান্তের দিল্লি। শেষ ওভারে জয়ের জন্য প্রয়োজন ছিলো ৪ রান। ছক্কা হাঁকিয়ে ম্যাচ শেষ করেন অশ্বিন।
এ জয়ের পর ১২ ম্যাচে দিল্লির সংগ্রহ ১৮ পয়েন্ট। এক ম্যাচ কম খেলা চেন্নাইয়ের নামের পাশেও রয়েছে ১৮ পয়েন্ট। নেট রান রেটে এগিয়ে থেকে শীর্ষে রয়েছে মহেন্দ্র সিং ধোনির দল। অন্যদিকে ১২ ম্যাচে মাত্র ১০ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের ছয়ে রয়েছে মুম্বাই।
১৩০ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে নিয়মিত বিরতিতেই উইকেট হারিয়েছে দিল্লি। একপর্যায়ে ৯৩ রানে পড়ে যায় তাদের ৬ উইকেট। সেখানে থেকে ৩৯ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি গড়ে ম্যাচ শেষ করেন শ্রেয়াস আইয়ার ও অশ্বিন।
সাবেক অধিনায়ক আইয়ার ৩৩ বলে ৩৩ রান করে অপরাজিত থাকেন, অশ্বিনের ব্যাট থেকে আসে ২১ বলে ২০ রানের ইনিংস। এছাড়া পান্ত ২২ বলে ২৬ ও শিমরন হেটমায়ার ৮ বলে ১৫ রান করেন।
এর আগে প্রথম ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারেই মুম্বাই অধিনায়ক রোহিত শর্মাকে সাজঘরে পাঠান আভেশ খান। সেই যে শুরু, এরপর আর সে অর্থে ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি মুম্বাই। রানের গতি তো বাড়াতে পারেইনি, উল্টো নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে তারা।
উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান কুইন্টন ডি কক (১৮ বলে ১৯), সূর্যকুমার যাদব (২৬ বলে ৩৩), সৌরভ তিওয়ারিরা (১৮ বলে ১৫) সম্ভাবনাময় শুরু করলেও ইনিংস বড় করতে পারেননি।
শেষদিকে দুই ভাই ক্রুনাল পান্ডিয়া (১৫ বলে ১৩*) ও হার্দিক পান্ডিয়া (১৮ বলে ১৭) আশা জাগালেও পারেননি বড় কিছু করতে। যে কারণে মুম্বাইয়ের ইনিংস থেমে যায় মাত্র ১২৯ রানে।
দিল্লির পক্ষে বল হাতে ৪ ওভারে মাত্র ১৫ রান খরচায় ৩ উইকেট নেন আভেশ খান। বাঁহাতি স্পিনার অক্ষর প্যাটেল ২১ রান খরচায় নেন ৩ উইকেট। অন্য দুই উইকেট যায় এনরিচ নর্টজে ও রবিচন্দ্রন অশ্বিনের ঝুলিতে।
নদী বন্দর / এমকে