আইপিএলে আরব আমিরাত পর্ব শুরুর পর কেকেআরের ডাগআউটে বসেই সময় কাটছে বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার এবং বাংলাদেশের সেরা ক্রিকেটার সাকিব আল হাসানের। মরু শহরে কেকেআর এখনও পর্যন্ত খেলেছে ৫টি ম্যাচ। এর মধ্যে জিতেছে তিনটিতে এবং হেরেছে ২টিতে।
এরমধ্যে সর্বশেষ ম্যাচে পাঞ্জাব কিংসের বিপক্ষে ১৬৫ রান করার পরও বোলারদের ব্যর্থতায় পরাজয় বরণ করতে হয়েছে কেকেআরকে। ওই ম্যাচে হারের পর কেকেআরের প্লে-অফে ওঠার রাস্তা অনেকটাই কঠিন হয়ে গেলো। তারা চতুর্থ স্থানে থাকলেও একই পয়েন্ট নিয়ে তাদের পেছনে রয়েছে পাঞ্জাব, রাজস্থান এবং মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স।
প্লে-অফে যেতে হলে বাকি থাকা দুই ম্যাচে জয়ছাড়া কোনো বিকল্প নেই কেকেআরের। সুতরাং, সানরাইজার্স হায়দরাবাদ এবং রাজস্থান রয়্যালসকে হারাতে না পারলে বিপদেই পড়তে হবে শাহরুখ খানের দলকে।
কেকেআরের সবচেয়ে বড় সমস্যা হিসেবে দেখা দিয়েছে অধিনায়ক ইয়ন মরগ্যানের অফ ফর্ম। তার ব্যাটে চলছে দীর্ঘ রান খরা। এই পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে বিশ্বের অন্যতম সেরা অলরাউন্ডার বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের সদস্য সাকিব আল হাসান রিজার্ভ বেঞ্চে থাকায় সোশ্যাল মিডিয়াসহ সর্বত্র ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছেন কেকেআর ভক্তরা।
এরপরই কিছুটা হলেও সম্বিত ফিরল কেকেআর ম্যানেজমেন্টের। কেকেআরের কোচ ব্রেন্ডন ম্যাককালামের কাছে সানরাইজার্স হায়দরাবাদের বিপক্ষে ম্যাচে সাকিব ফিরছেন কি না জানতে চাইলে তিনি বলে দিয়েছেন, পরের ম্যাচে দলে ফিরছেন সাকিব।
পাঞ্জাব কিংসের কাছে কেকেআরের হারের পর তুমুল সমালোচনার মুখোমুখি হয় কেকেআর। সবচেয়ে যেটা চোখে পড়লো, সেটা হচ্ছে- আকাশ চোপড়ার টুইট। তিনি প্রথমে টুইট করে বলেন, ‘সাকিব যদি কিউই হতেন…‘। অর্থ্যাৎ, সাকিব কিউই ক্রিকেটার হলে একাদশ থেকে মোটেও বাদ পড়তেন না। এরপর আরেক টুইটে আকাশ চোপড়া দাবি করেন মরগ্যানকে বাদ দিয়ে কেকেআরের উচিৎ সাকিবকে অধিনায়কের) দায়িত্ব দেয়া।
উল্লেখ্য, আইপিএলের এবারের আসরে মাত্র তিনটি ম্যাচে খেলার সুযোগ পেয়েছেন সাকিব। যার সবকটিই ছিল ভারতে। কেকেআর তাদের শেষ ম্যাচে পাঞ্জাব কিংসের কাছে পাঁচ উইকেটের ব্যবধানে হারের পরেই কলকাতার প্রধান কোচ ব্রেন্ডন ম্যাককালাম ইঙ্গিত দিয়েছেন সানরাইজার্স হায়দরাবাদের বিপক্ষে পরর্বর্তী ম্যাচে প্রথম একাদশে সাকিবের প্রত্যাবর্তন ঘটছে।
কলকাতার মিডিয়াগুলো বলছে, সাকিবকে এবার টপ অর্ডারে খেলানোর জন্য চিন্তা-ভাবনা করছে কলকাতা। ম্যাককালাম বলেন, ‘সাকিবও সুযোগ পাবে তাড়াতাড়ি। আমাদের হাতে অনেক অপশন আছে। টিম সেফার্ট এবারের সিপিএলে ভাল পারফরম্যান্স করেছে। আমরা আমাদের মিডল অর্ডারের শক্তি বাড়ানোর লক্ষ্যে ওকে দলে নিয়েছিলাম।’
উল্লেখ্য পাজ্ঞাব ম্যাচে সেফার্ট এবং সাউদি এই দুই বিদেশির পারফরম্যান্স ছিল খুব খারাপ। তার উপরে যোগ হয় মরগ্যানের ব্যাটে রানের খরা। ম্যাককালাম বলেন, ‘যখন আমরা দল নির্বাচন নিয়ে কথা বলি সাকিব সবসময়ই আমাদের ভাবনাতে থাকে। কারণ ওর বাঁ-হাতি বোলিং ও ব্যাটিং দক্ষতা বিশ্বমানের।’
নদী বন্দর / বিএফ