সারা বিশ্বে আজ মঙ্গলবার ‘বিশ্ব শিক্ষক দিবস’ পালন করা হচ্ছে। সরকারি-বেসরকারি শিক্ষকদের মধ্যে দীর্ঘদিনের বৈষম্য নিরসনসহ নানা দাবিতে দেশব্যাপী নানা কর্মসূচিতে এ দিনটিকে পালন করবেন শিক্ষকরা। সরকারের পক্ষ থেকে এ দিনটি পালন করা না হলেও বেসরকারিভাবে প্রতি বছর পালিত হয়।
জানা গেছে, ১৯৯৪ সাল থেকে প্রতিবছর ৫ অক্টোবর বিশ্বব্যাপী পালিত হয়ে আসছে বিশ্ব শিক্ষক দিবস। ইউনেসকো এবার দিবসটির প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করেছে ‘শিক্ষকগণ শিক্ষা পুনরুদ্ধারের কেন্দ্রবিন্দুতে’।
দিবসটি উপলক্ষে জাতীয়করণসহ বিভিন্ন দাবিতে মানববন্ধন, র্যালি ও সমাবেশের ডাক দিয়েছেন বেসরকারি শিক্ষকরা। বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতি (বাশিস) ও এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান জাতীয়করণ লিয়াঁজো ফোরামের যৌথ উদ্যোগে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে নানা কর্মসূচি পালন করা হবে।
অন্যদিকে, বিশ্ব শিক্ষক দিবসে কেন্দ্র করে সোমবার (৪ অক্টোবর) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে সংবাদ সম্মেলন করে শিক্ষার মানোন্নয়নে সরকারি-বেসরকারি বৈষম্য দূরীকরণে শিক্ষাব্যবস্থা জাতীয়করণ, শিক্ষা সার্ভিস কমিশন ও ব্যবস্থাপনা কমিটি বিলুপ্তি করাসহ নয় দফা দাবি জানানো হয়েছে।
দাবিগুলো হলো:
১. সরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীদের অনুরূপে বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন, বার্ষিক ইনক্রিমেন্ট ও অন্যান্য ভাতা দেওয়া।
২. সরকারি কলেজের অনুরূপ পদ্ধতিতে সমযোগ্যতা ও সমঅভিজ্ঞতা সম্পন্ন বেসরকারি কলেজের শিক্ষকদের সহযোগী অধ্যাপক ও অধ্যাপকের পদে পদোন্নতি, উচ্চতর ডিগ্রির জন্য উচ্চতর বেতন স্কেল দেওয়া। সরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অনুরূপ বেসরকারি শিক্ষাব্যবস্থায় বদলি প্রথা চালু করা।
৩. শিক্ষকদের ন্যায় আনুপাতিক হারে শিক্ষা প্রশাসনের (জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরসহ গুরুত্বপূর্ণ পদে যোগ্যতাসম্পন্ন বেসরকারি শিক্ষকদের সুযোগ দেওয়া ও প্রশিক্ষণ/সেমিনার সিম্পোজিয়াম এবং ওয়ার্কশপে যোগদানের ব্যবস্থা করা।
৪. শিক্ষকদের মর্যাদা ও অধিকার এবং দায়িত্ব ও কর্তব্য সম্পর্কিত ইউনেস্কো ও আইএলও’র সনদ ১৯৬৬ বাস্তবায়ন। শিক্ষার গুণগতমান উন্নয়নের লক্ষ্যে যােগ্য ও দক্ষ শিক্ষক নিয়ােগের জন্যে স্বতন্ত্র ‘শিক্ষা সার্ভিস কমিশন’ গঠন করা।
৫. মানসম্মত শিক্ষার লক্ষ্যে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান অনুমোদন দানকারী বিশ্ববিদ্যালয় ও শিক্ষা বোর্ডে নিয়মিতভাবে একাডেমিক পরিদর্শন ব্যবস্থা করা।
৬. বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পরিচালনার ক্ষেত্রে গভর্নিংবডি/ম্যানেজিং কমিটি প্রথা বিলুপ্ত করে সরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পরিচালনার নিয়মনীতি বাতিল করা।
৭. সরকারি কলেজের মতো বেসরকারি কলেজের জনবল কাঠামো প্রবর্তন করে অনার্স-মাস্টার্স কলেজে পাঠদানরত শিক্ষকদের এমপিওভুক্ত করতে হবে। শিক্ষকদেরও পূর্ণাঙ্গ পেনশন চালুসহ নয় দফা দাবি তোলা হয়েছে।
নদী বন্দর / বিএফ