দীর্ঘ ১৫৭ দিন বন্ধ থাকার পর অবশেষে নিবন্ধন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে শিমুলিয়া-বাংলাবাজার ও মাঝিরকান্দি নৌরুটে পুনরায় শুরু হলো স্পিডবোট চলাচল। এ নৌরুটে চলাচলকারী অনিবন্ধিত স্পিডবোটের নিবন্ধন, চালকদের যোগ্যতা সনদ ও রুট পারমিট দেওয়ার পর স্পিডবোট চলাচলের অনুমতি দেয় বিআইডব্লিউটিএ কর্তৃপক্ষ।
বৃহস্পতিবার (৭ অক্টোবর) দুপুরে এ উপলক্ষে স্পিডবোট পন্টুনে অনুষ্ঠিত হয় মিলাদ। পরে শিমুলিয়া-বাংলাবাজার ও মাঝিরকান্দি এই দুটি নৌরুটে রুট পারমিট পাওয়া ১০১টি স্পিডবোট সচল করা হয়। শিমুলিয়া ঘাট থেকে মাঝিরকান্দি ও বাংলাবাজার ঘাটের উদ্দেশ্যে যাত্রী নিয়ে ছেড়ে যায় বেশকিছু স্পিডবোট।
বিআইডব্লিউটিএ’র শিমুলিয়া ঘাটের নৌ-নিরাপত্তা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা বিভাগের সহ-পরিচালক শাহাদাত হোসেন জানান, শিমুলিয়া-বাংলাবাজার এবং মাঝিরকান্দি নৌরুটে নিবন্ধন প্রক্রিয়ার জন্য ১৮২টি স্পিডবোট তালিকাভুক্ত করা হয়। যাদের মধ্যে ১৪৫টি আবেদন পাওয়া যায়। কাগজপত্র সঠিক থাকায় ১২৬টি স্পিডবোটের নিবন্ধন দেওয়া হয়েছে। তার মধ্যে রুট পারমিট পেয়েছে ১০১টি। এর মধ্যে শিমুলিয়াঘাটের ৫৩টি, বাংলাবাজারঘাটে ২৯টি এবং মাঝিরকান্দি ঘাটে ১৯টি। এছাড়া আবেদনকারী চালকদের মধ্যে ১২০ জন চালক যোগ্যতা সনদ পেয়েছেন। বাকিদের মধ্যে ডোপ টেস্টে ৯ জন পজিটিভ হওয়ায় এবং কাগজপত্রে ত্রুটি ও পরীক্ষায় অনুত্তীর্ণ হওয়ায় সনদ পাননি।
তিনি আরও জানান, এর আগে স্পিডবোট চলাচলে সরকার কোনো রাজস্ব পেতো না। নীতিমালায় অন্তর্ভুক্ত হওয়ার মধ্য দিয়ে এসব নৌযান থেকে এখন সরকার রাজস্ব পাবে। পাশাপাশি চলাচলের ক্ষেত্রে চালকদের সতর্কতা যেমন বাড়বে তেমনি কেউ নিয়ম অমান্য করলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া সহজ হবে। বন্ধ হবে অনিবন্ধিত নৌযান চলাচলও।
তিনি বলেন, এখন থেকে সূর্যোদয় থেকে বিকাল ৫টা ৪০ পর্যন্ত নৌরুটে স্পিডবোট চলাচল করবে। পুনরায় নির্ধারণের আগ পর্যন্ত ভাড়া থাকবে ১৬০ টাকাই।
চলতি বছরের গত ৩ মে মুন্সিগঞ্জের শিমুলিয়াঘাট থেকে ৩১ জন যাত্রী নিয়ে মাদারীপুরের বাংলাবাজার ফেরিঘাটের দিকে যাচ্ছিল একটি স্পিডবোট। পুরোনো কাঁঠালবাড়ি ঘাটের কাছাকাছি আসার পর সেখানে নোঙর করে রাখা বালুবোঝাই বাল্ক হেডের সঙ্গে সংঘর্ষে ডুবে যায় স্পিডবোটটি। এ দুর্ঘটনায় মারা যান ২৬ জন। এ ঘটনার পর থেকে শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌপথে স্পিডবোট চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়। অনিবন্ধিত স্পিডবোট ও চালকদের লাইসেন্স ছাড়া এ নৌপথে স্পিডবোট চলাচলের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয় বিআইডব্লিউটিএ।
নদী বন্দর / এমকে