1. badsha.dru@gmail.com : admi2017 :
  2. nadibandar2020@gmail.com : Nadi Bandar : Nadi Bandar
দেশে ঢুকছে ভারতের পেঁয়াজ, ক্ষতির মুখে কৃষকরা - Nadibandar.com
বৃহস্পতিবার, ৩১ অক্টোবর ২০২৪, ০৬:১৯ অপরাহ্ন
নদী বন্দর প্রতিনিধি:
  • আপডেট টাইম : রবিবার, ৩ জানুয়ারী, ২০২১
  • ১২২ বার পঠিত

সরকারের মাঠ প্রশাসন তিন মাস পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ রাখার আহ্বান জানালেও তাতে কর্ণপাত করেনি বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। কোনো বাধা ছাড়াই দেশের ভরা মৌসুমে আবারো পেঁয়াজ রফতানির দরজা খুলেছে ভারত। যার নেতিবাচক প্রভাবে কমেছে দেশি পেঁয়াজের দামও। বাজারদরে হঠাৎ পতনে দিশেহারা কৃষকরা। 

অদ্ভুত এক ব্যবস্থায় যুগের পর যুগ চলে আসছে বাংলাদেশের বাজারব্যবস্থা। চালের পর যার সর্বশেষ উদাহরণ পেঁয়াজ। মাস তিনেক আগে যখন শেষের পথে অভ্যন্তরীণ মজুত, তখন আচমকাই কোনো ঘোষণা ছাড়াই বাংলাদেশে পেঁয়াজ রফতানি বন্ধ করে দেয় ভারত।

সংকট সামাল দেওয়ার সঙ্গে বাড়তি লাভের আশায় সরকারি উৎসাহেই বিপুল পরিমাণ জমিতে পেঁয়াজ চাষ করেছেন চাষিরা। অথচ দেশি পেঁয়াজে টইটম্বুর বাজারেই আবার শুরু হয়েছে ভারত থেকে আমদানি।

এক কৃষক জানান, ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি করছে। অথচ আমরা পেঁয়াজ বিক্রিতে লোকসান গুনছি। এভাবে যদি চলতে থাকে, তাহলে ভবিষ্যতে আমরা আর পেঁয়াজ চাষ করব না। 

সরকারের মাঠ প্রশাসন বলছে, কৃষক স্বার্থ সুরক্ষায় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে অনুরোধ করা হয়েছে পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ রাখতে।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপপরিচালক সুব্রত কুমার সরকার জানান, গত বছর বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে একটি প্রস্তাব দিয়েছিলাম। পেঁয়াজ মৌসুমে যদি বাইরের থেকে আমদানি বন্ধ রাখা যায়। তাহলে দেশের উৎপাদিত পেঁয়াজ বিক্রি করে কৃষকরা লাভবান হবেন। 

যতো দ্রুত সম্ভব পেঁয়াজ আমদানি বন্ধের পক্ষে অর্থনীতিবিদরাও। তবে অর্থনৈতিক সম্পর্কের খাতিরে তা করা না গেলেও আমদানিতে শুল্ক আরোপের আহ্বান তাদের।

দেশে উৎপাদন বাড়ানোর কৌশল হিসেবে গত পহেলা জুলাই থেকে পেঁয়াজ আমদানিতে ৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করে সরকার। সেপ্টেম্বরে তুলে নেয়ার পর যা এখনও রয়েছে স্থগিত। এর মধ্যেই তিন স্থলবন্দর দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে ভারত থেকে আসা পেঁয়াজ।

নদী বন্দর / পিকে

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved © 2020 Nadibandar.Com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com