মামলা মাথায় নিয়ে সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের দেশত্যাগ নিয়ে তোলপাড় চলছে। তার দেশত্যাগের জেরে আন্দোলনের মুখে সরকার আওয়ামী লীগের সব ধরনের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করেছে। তবে পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, সাবেক দুইবারের রাষ্ট্রপতির শারীরিক অবস্থা গুরুতর। তিনি দাঁড়িয়ে থাকার সক্ষমতাও হারিয়েছেন। তিনি ক্যানসারে আক্রান্ত। থাইল্যান্ডের একটি হাসপাতালে তার চিকিৎসা চলছে।
বৃহস্পতিবার (১৫ মে) সকালে আবদুল হামিদের একটি বিধ্বস্ত ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে শেয়ার করে তার ছোট ছেলে রিয়াদ আহমেদ তুষার একটি পোস্ট করেছেন। সেখানে তিনি তার বাবা সম্পর্কে মিথ্যাচার করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন।
তার দুই ভাই সরাসরি আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত হলেও তুষার ব্যক্তিগতভাবে আওয়ামী লীগের কোনো কমিটিতে নেই। তিনি একজন ব্যারিস্টার এবং লেখক। বাবার সঙ্গে তিনিও থাইল্যান্ডে গেছেন।
তুষার ফেসবুক পোস্টে লেখেন- ‘এরকম একটা পোস্ট দিবার জন্য দুঃখিত। ৮২-৮৩ বৎসরের একজন বয়স্ক লোক যিনি কিনা অসুস্থতার কারণে এখন ২ মিনিট দাঁড়িয়ে থাকতে পারছেন না, ২ ঘণ্টা বসে থাকতে পারছেন না বাধ্য হয়ে বিছানায় শুয়ে পড়েন। ওজন কমতে কমতে ৫৪ কেজিতে দাঁড়িয়েছে, যে কারণে নিজের কোনো প্যান্ট পরতে পারছেন না। বাধ্য হয়েই লুঙ্গি পরে থাকতে হচ্ছে।’
আবদুল হামিদের ছেলে লেখেন- ‘যাকে বেটার চিকিৎসার জন্য ডাক্তারগণ বোর্ড করে সিদ্ধান্ত দিয়েছেন বিদেশে চিকিৎসা করানোর জন্য। যিনি রাষ্ট্রপতি হিসেবে মেয়াদ শেষ হবার পর প্রকাশ্যে বলেছেন যে, উনি আর পলিটিক্সের সাথে জড়িত হবেন না এবং তারপর পলিটিক্সের সাথে কোনোভাবে জড়িত হননি। আবার, যেখানে শত শত লোক বাংলাদেশ থেকে চিকিৎসা করাতে নিয়মিত থাইল্যান্ড যাচ্ছে সেখানে একজন সাধারণ নাগরিক হিসেবে থাইল্যান্ডে চিকিৎসার জন্য তিনি আসতেই পারেন।’
তুষার লেখেন- ‘অথচ, এ ঘটনাটাকেই এত বিকৃতভাবে উপস্থাপন করা হচ্ছে যা কল্পনাতীত। বানিয়ে মিথ্যা বলতে পারাটাকে শিল্পের পর্যায়ে নিয়ে গেছে কিছু লোক। সকলেই দোয়া করবেন যেন তিনি সুস্থ হয়ে তাড়াতাড়ি দেশে ফিরে আসতে পারেন ইনশাআল্লাহ।’
আবদুল হামিদের ছোট ছেলে চ্যালেঞ্জ দিয়ে লেখেন- ‘আমি যদি মিথ্যা বলে থাকি তবে আল্লাহর লানত আমার উপর পরুক। আর যারা মিথ্যা প্রচার করছে তারা যদি তাদের কৃতকর্মের জন্য আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের কাছে তওবা না করে তবে তাদের সবার ওপর আল্লাহর লানত পড়ুক। আমিন ইয়া রাব্বুল আলামিন।’
নদীবন্দর/জেএস