পাকিস্তানের দক্ষিণাঞ্চলে হামলার ঘটনায় এক সাংবাদিক নিহত হয়েছেন। স্থানীয় পুলিশ কর্মকর্তারা বলছেন, ওই সাংবাদিককে লক্ষ্য করেই হামলা চালানো হয়েছে। এক বিবৃতিতে জাতিগত বিচ্ছিন্নতাবাদী বেলুচ লিবারেশন আর্মি (বিএলএ) ওই হামলার দায় স্বীকার করেছে।
পাকিস্তানের বৃহত্তম শহর করাচির পশ্চিমাঞ্চল থেকে প্রায় ২০ কিলোমিটার দূরের হাব শহরে গাড়ি চালিয়ে যাওয়ার সময় হামলার লক্ষ্যবস্তু হন শহীদ জেহরি নামের ওই টিভি সাংবাদিক। পুলিশ জানিয়েছে, রোববার রাতে ওই হামলার ঘটনা ঘটেছে।
ইউনুস রাজা নামের এক ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, হাব শহরের প্রধান একটি সড়কে স্থানীয় সময় রাত প্রায় ৮টার দিকে শহীদ জেহরির ওপর হামলা চালানো হয়।
ইউনুস রাজা বলেন, তাকে আহত অবস্থায় প্রথমে স্থানীয় জ্যাম গুলাম খান হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে সেখান থেকে তাকে করাচিতে পাঠানো হয়। করাচির প্রধান সরকারি হাসপাতালে পৌঁছানোর কিছু সময় পরই শহীদ জেহরিকে মৃত ঘোষণা করা হয়।
ওই কর্মকর্তা আরও বলেন, সম্ভবত জেহরির গাড়ির ড্রাইভিং সিটের নিচে একটি ম্যাগনেটিক ডিভাইস লাগানো হয়েছিল। সেটা থেকেই বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে।
স্থানীয় টিভি চ্যানেল মেট্রো ১-এর সাংবাদিক ছিলেন জেহরি। পাকিস্তানের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় বেলুচিস্তান প্রদেশে প্রতিবেদক হিসেবে কাজ করছিলেন তিনি।
রোববার রাতে সশস্ত্র গোষ্ঠী বিএলএ ওই হামলার দায় স্বীকার করে দাবি করে জেহরি পাকিস্তানের নিরাপত্তা বাহিনীর হয়ে কাজ করছিলেন।
এদিকে পাকিস্তান ফেডারেল ইউনিয়ন অব জার্নালিস্টসের (পিএফইউজে) প্রেসিডেন্ট শাহজাদা জুলফিকার আল জাজিরাকে জানিয়েছেন, সশস্ত্র গোষ্ঠীর সদস্যরা বেলুচিস্তান প্রদেশে সাংবাদিকদের ওপর হামলা চালানোর পর এ ধরনের অভিযোগই করে থাকে। ১৯৯২ সাল থেকে এখন পর্যন্ত পাকিস্তানে কমপক্ষে ৬১ জন সাংবাদিক হামলার ঘটনায় নিহত হয়েছেন।
নদী বন্দর / সিএফ