আরও একবার চ্যাম্পিয়ন হওয়ার স্বপ্ন চূর্ণ হলো বিরাট কোহলির রয়েল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরুর। বরাবরই তারকাসর্বস্ব দল নিয়ে ট্রফি ছুঁতে না পারা ব্যাঙ্গালুরু এবারও ফিরছে আক্ষেপ নিয়ে।
শারজায় আজ প্রথম এলিমিনেটরে কলকাতা নাইট রাইডার্সের কাছে ৪ উইকেটে হেরে প্লে-অফেই থেমেছেন কোহলিরা। সাকিব আল হাসানের কলকাতা এখন ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে খেলবে দিল্লি ক্যাপিটালসের বিপক্ষে।
বোলাররাই আজ মূল কাজ করে দিয়েছেন কলকাতার। লক্ষ্য ছিল মাত্র ১৩৯ রানের। ব্যাঙ্গালুরু শেষ ওভার পর্যন্ত চেষ্টা করেও জয় আটকাতে পারেনি মরগ্যানদের।
শেষ ওভারে দরকার ছিল ৭ রান। প্রথম বলেই বাউন্ডারি হাঁকিয়ে সব উত্তেজনা পানি করে দেন সাকিব। জয়সূচক এক রানও আসে টাইগার অলরাউন্ডারের ব্যাট থেকে। ৬ বলে ৯ রানে অপরাজিত থাকেন সাকিব।
শুভমান গিল (২৯), ভেঙ্কটেশ আয়ার (২৬), নিতিশ রানা (২৩) আর সুনিল নারিন (২৬) রান তাড়ার পথটা সহজ করে দিয়েছিলেন। মাঝে ১৬ রানের মধ্যে ৩ উইকেট হারিয়ে কিছুটা চাপে পড়েছিল কলকাতা।
তবে সাকিব আর মরগ্যান (৫) দলকে বিপদে পড়তে দেননি। ইনিংসের ২ বল বাকি থাকতে জয় তুলে নেয় কলকাতা।
এর আগে কলকাতা নাইট রাইডার্সের চতুর্মুখী আক্রমণে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ১৩৮ রানে থামে ব্যাঙ্গালুরুর ইনিংস।
টস জিতে আগে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন ব্যাঙ্গালুরু অধিনায়ক বিরাট কোহলি। কলকাতার পক্ষে প্রথম ওভারেই আক্রমণে আসেন সাকিব। সেই ওভারের শেষ বলে বাউন্ডারি হজম করলেও সাত রানের বেশি দেননি বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার। তবে পাওয়ার প্লে’তে আর বোলিংয়ে আনা হয়নি তাকে।
অধিনায়ক কোহলি ও বাঁহাতি ওপেনার দেবদূত পাড্ডিকালের উদ্বোধনী জুটিতে প্রথম পাঁচ ওভারেই ৪৯ রান তুলে ফেলেছিল ব্যাঙ্গালুরু। তবে ষষ্ঠ ওভারের প্রথম বলেই ২১ রান করা পাড্ডিকালকে সাজঘরে পাঠিয়ে দেন লকি ফার্গুসন। এরপর আর রানের চাকা সচল রাখতে পারেনি ব্যাঙ্গালুরু।
শুরুটা বেশ আক্রমণাত্মকভাবে করলেও, ক্রমেই কমতে থাকে কোহলির স্ট্রাইক রেট। শেষপর্যন্ত সুনিল নারিনের বলে বোল্ড হওয়ার আগে ৩৩ বলে ৩৯ রান করেন তিনি। কোহলির আগেই ব্যাঙ্গালুরুর আগের ম্যাচের নায়ক শ্রিকার ভারতকে (১৬ বলে ৯) সাজঘরে পাঠিয়ে দেন নারিন।
পরে দলের হাল ধরতে পারেননি তারকা ক্রিকেটার এবি ডি ভিলিয়ার্স ও গ্লেন ম্যাক্সওয়েল। ভিলিয়ার্সের ব্যাট থেকে আসে ৯ বলে ১১ রান আর ম্যাক্সওয়েল ১৫ রান করতে খেলেন ১৮টি বল। এর বাইরে ১৪ বলে ১৩ রান করেন শাহবাজ আহমেদ। শেষদিকে হার্শাল প্যাটেলের ৬ বলে ৮ রানের সুবাদে ১৩৮ পর্যন্ত যায় ব্যাঙ্গালুরুর সংগ্রহ।
কলকাতার পক্ষে বল হাতে সবচেয়ে সফল সুনিল নারিন। তিনি চার ওভারে মাত্র ২১ রান খরচায় নিয়েছেন চারটি উইকেট। পেসার লকি ফার্গুসনের শিকার দুই উইকেট। ঝুলিতে কোনো উইকেট পুরতে না পারলেও, চার ওভারে মাত্র ২৪ রান খরচ করেন সাকিব।
নদী বন্দর / সিএফ