অনেকেই কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যায় ভোগেন। বিশেষ করে যারা অস্বাস্থ্যকর খাবার বেশি খান ও শাক সবজি কম খান তাদের মধ্যে এ সমস্যা বেশি দেখা যায়।
ঠিকমতো পেট পরিষ্কার না হলে বদহজমসহ পেটের নানা সমস্যায় ভুগতে হয়। একইসঙ্গে দীর্ঘদিন কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যায় ভুগলে পাইলস, অর্শ্বসহ নানা সমস্যা শরীরে বাসা বাঁধতে পারে।
কোষ্ঠিকাঠিন্যের সমস্যার অন্যতম কারণ হলো ফাইবারজাতীয় খাবার কম খাওয়া। আবার অনেকেই দীর্ঘক্ষণ না খেয়ে থাকেন, এর ফলেও কোষ্ঠকাঠিন্য হতে পারে।
যদি দীর্ঘদিন কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা থাকে তাহলে ঘরোয়া উপায়েই তা সারিয়ে তুলতে পারেন। এজন্য অনুসরণ করুন আয়ুর্বেদের ৫ উপায়। জেনে নিন করণীয়-
>>> প্রত্যেকরই দিনে অন্তত ২-৩ লিটার পানি খাওয়া উচিত। তবে অনেকেই তা মানেন না। অতিরিক্ত ঘামের পর শরীর থেকে পানি বের হয়ে যায়।
তাই বেশি করে পানি খাওয়া জরুরি। শরীরে পানিশূন্যতার সৃষ্টি হলে কোষ্ঠকাঠিন্য হওয়ার আশঙ্কা বাড়ে।
>> কোষ্ঠকাঠিন্য কমাতে খেতে পারেন ডালিয়া। এতে থাকে উদ্ভিজ্জ প্রোটিন, ফাইবার ও ভিটামিনসমূহ। যা কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা কমায়।
>> আয়ুর্বেদের তথ্য মতে, কোষ্ঠাকাঠিন্য কমাতে সবচেয়ে বেশি উপকারী হলো যষ্টিমধু। এটি শরীরের হজমশক্তি বাড়ায়।
এক কাপ পানিতে আধা চা চামচ যষ্টিমধু গুঁড়া ও সামান্য গুড় মিশিয়ে খেলে সারবে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা।
>> ডুমুরের স্বাস্থ্য উপকারিতা সম্পর্কে সবারই কমবেশি ধারণা আছে। এই ফল খেলেও কমবে কোষ্ঠকাঠিন্য।
তবে ডুমুর খাওয়ার আগে কিছুক্ষণ ভিজিয়ে রাখুন গরম পানিতে। ফলে এতে থাকা ফাইবারের পরিমাণ বেড়ে যাবে ও দ্রুত পেট পরিষ্কার হয়।
>> ঘি ও দুধ খেলেও কোষ্ঠকাঠিন্য রোধ করা যায়। এজন্য রাতে ঘুমানোর আগে ১ কাপ গরম দুধের সঙ্গে ২ চা চামচ ঘি মিশিয়ে খান।
>> এসবের পাশাপাশি সকালে বেশি করে পানি খান। যা ওয়াটার থেরাপির কাজ করবে। এর ফলে দ্রুত পেট পরিষ্কার হবে।
>> পাশাপাশি ভেষজ চা পান করতে পারেন, যেমন- সবুজ চা, ক্যামোমাইল চা। এগুলো হজমশক্তি বাড়াতে সাহায্য করতে পারে।
>> কমপক্ষে ৩০ মিনিটের জন্য দৈনিক ব্যায়াম করুন। এতে হজমশক্তি উন্নত হবে, শরীরের মেদ-ভুড়িও কমবে।
> খাদ্যতালিকায় প্রচুর পরিমাণে ফাইবারজাতীয় খাবার, মৌসুমি ফল ও সবজি রাখুন।
নদী বন্দর / বিএফ