স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন বলেন, দগ্ধ রোগীদের চিকিৎসাসেবা দিতে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে স্থাপন করা হচ্ছে বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিট। আগামী দুই মাসের মধ্যে ১৫০ শয্যার বিশেষায়িত বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটের নির্মাণকাজ শুরু হবে।
শনিবার প্রস্তাবিত হাসপাতালের গোয়াছিবাগান এলাকা পরিদর্শনে এসে এ তথ্য জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
চীনের অর্থায়নে নির্মিত হতে যাওয়া বিশেষায়িত ইউনিটটির চলতি মাসে ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করতে পারেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সাংবাদিকদের স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, এটি প্রধানমন্ত্রীর অগ্রাধিকার প্রকল্প। প্রকল্পটি নিয়ে কয়েকদিন আগেও প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা হয়েছে। চীন সফর শেষে প্রধানমন্ত্রী এই মাসেই চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করতে পারেন। সেপ্টেম্বরে নির্মাণকাজ শুরু হবে। দুই বছরের মধ্যেই কাজ শেষ করার প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।
জানা গেছে, ১৫০ শয্যার বিশেষায়িত বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটটি নির্মাণে ব্যয় হবে ২৮৫ কোটি টাকা। এর মধ্যে চীন সরকার অনুদান হিসেবে দেবে ১৮০ কোটি টাকা। বাকি ১০৫ কোটি টাকা দেবে বাংলাদেশ সরকার। গত ৯ মে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় প্রকল্পটি অনুমোদন পায়।
এ ইউনিটের মধ্যে থাকছে শিশুদের জন্য ৫টিসহ মোট ২০টি বার্ন আইসিইউ বেড, ২৫টি এইচডিইউ বেড এবং ৩টি অত্যাধুনিক অপারেশন থিয়েটার। রোগী আসা-যাওয়ার সুবিধার জন্য থাকবে তিনটি রাস্তা।
ছয়তলা বিশিষ্ট এই হাসপাতালের ইউনিটটির প্রথম তলায় থাকবে ইমার্জেন্সি ওয়ার্ড এবং ওপিডি। দ্বিতীয় তলায় তিনটি অপারেশন থিয়েটার (ওটি), নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্র (আইসিইউ), তৃতীয় তলায় হাইডিপেন্সি ইউনিট (এইচডিইউ), চতুর্থ এবং পঞ্চমতলায় থাকবে সাধারণ ওয়ার্ড, ষষ্ঠতলায় ওয়ার্ডের সঙ্গে থাকবে অফিস।
নদী বন্দর/এবি