রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বলেছেন, বিশ্ব পরিমণ্ডলে সবার সুরক্ষার জন্য আন্তর্জাতিক মান হচ্ছে একটি অন্যতম হাতিয়ার। জনগণের জীবনযাত্রার মানোন্নয়নে সকল ক্ষেত্রে মানসম্মত পণ্য উৎপাদন ও সেবা প্রদান নিশ্চিত করা খুবই জরুরি। টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জনে সামাজিক ভারসাম্যহীনতা দূরীকরণ, টেকসই অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও জলবায়ু পরিবর্তনের মাত্রা সীমিতকরণের ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়েছে।
তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক মান ও সামঞ্জস্য নিরূপণের (Conformity Assessment) বিদ্যমান উপকরণসমূহ ব্যবহার করে এসব লক্ষ্য অর্জন সম্ভব বলে আমি মনে করি। আমি আশা করি, সংশ্লিষ্ট সরকারি ও বেসরকারি সংস্থাসমূহ আন্তর্জাতিক মান অনুসরণ ও বাস্তবায়নে অধিকতর মনোযোগী হবেন এবং এর মাধ্যমে ২০৪১ সালের মধ্যে শিল্পসমৃদ্ধ উন্নত বাংলাদেশ বিনির্মাণে ইতিবাচক অবদান রাখতে সক্ষম হবে।
বৃহস্পতিবার (১৪ অক্টোবর) ‘বিশ্ব মান দিবস’ উপলক্ষে দেওয়া এক বাণীতে তিনি এসব কথা বলেন।
রাষ্ট্রপতি বলেন, বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশন (বিএসটিআই) কর্তৃক বিশ্বের অন্যান্য দেশের ন্যায় বাংলাদেশেও ‘বিশ্ব মান দিবস’ পালনের উদ্যোগকে আমি স্বাগত জানাই। Sustainable Development Goals (SDGs’)-কে গুরুত্ব দিয়ে এবারে ‘বিশ্ব মান দিবস’ এর প্রতিপাদ্য ‘Shared vision for a better world-Standards for SDGs’ অর্থাৎ ‘সমন্বিত উদ্যোগে টেকসই উন্নত বিশ্ব বিনির্মাণে- মান’ যথার্থ হয়েছে বলে আমি মনে করি।
তিনি বলেন, বিশ্ব মান দিবস উপলক্ষ্যে গৃহীত কর্মসূচি বিশেষায়িত অভিজ্ঞতা বিনিময়ের পাশাপাশি মান উন্নয়ন ও প্রয়োগে শিল্প উদ্যোক্তা, বিক্রেতা ও ভোক্তা সাধারণের মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। বিশ্ব মান দিবসের তাৎপর্যকে অনুধাবন করে দেশীয় শিল্প উদ্যোক্তা, আমদানিকারক-রপ্তানিকারকগণ মানসম্মত পণ্য উৎপাদন, বিক্রয় ও বিতরণের মাধ্যমে জনগণকে কাঙ্ক্ষিত সেবা প্রদানে অধিকতর মনোযোগী হবেন বলে আমি আশা করি।
‘এছাড়া ভোক্তার আস্থা অর্জনে বিএসটিআইকে আরও দক্ষ, জবাবদিহি ও দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে। জাতীয় মান সংস্থা হিসেবে বিএসটিআই পণ্যের মান প্রণয়ন ও উন্নয়নের মাধ্যমে জনগণের আস্থা অর্জনে সক্ষম হবে- এ প্রত্যাশা করি। আমি ‘বিশ্ব মান দিবস’ উপলক্ষে আয়োজিত সকল কর্মসূচির সাফল্য কামনা করছি।’