পর্যটকদের দীর্ঘদিনের অপেক্ষার অবসান ঘটল। আবারও দুয়ার খুললো ইন্দোনেশিয়ার বালি দ্বীপ। যদিও খুব ধীরগতিতেই কার্যক্রম শুরু হয়েছে। এখনও পর্যন্ত আন্তর্জাতিক কোনো ফ্লাইট বালিতে পৌঁছায়নি। চীন, ভারত, ফ্রান্সসহ ১৯ দেশের পর্যটক যারা ভ্যাকসিনের দুই ডোজ নিয়েছেন তারা বৃহস্পতিবার থেকে বালিতে ভ্রমণ করতে পারবেন। তবে যুক্তরাজ্য এই তালিকায় স্থান পায়নি।
পর্যটকদের জন্য দুয়ার উন্মুক্ত হলেও কিছু বিধি-নিষেধ থাকছে। বালিতে পৌঁছানোর পর পর্যটকদের প্রথমেই পাঁচদিনের কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে।
করোনা সংক্রমণের গতি রোধ করতে গত বছরের এপ্রিলে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর বন্ধ করে দেন কর্মকর্তারা। এরপর গত জুলাই মাসে এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে করোনার হটস্পটে পরিণত হয় ইন্দোনেশিয়া। তবে কয়েক মাস ধরেই সংক্রমণ কমতে শুরু করেছে।
এখন পর্যটন খাত আশা প্রকাশ করেছে যে, করোনা মহামারির আগে ২০১৯ সালে ৬০ লাখের মতো যে পর্যটকরা বালিতে ভ্রমণ করেছেন তারা আবারও জনপ্রিয় এই দ্বীপে ঘুরতে আসবেন।
ইন্দোনেশিয়ায় বালি দ্বীপেই সবচেয়ে বেশি মানুষ ভ্যাকসিন গ্রহণ করেছেন। ওই দ্বীপের ৮২ শতাংশের বেশি মানুষকে ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে বলে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় নিশ্চিত করেছে।
তবে পর্যটকদের জন্য দুয়ার খুললেও এখনও কোনো আন্তর্জাতিক ফ্লাইট বালি দ্বীপ স্পর্শ করেনি। ফ্লাইট মনিটরিং সাইট ফ্লাইটরাডার২৪ জানিয়েছে, বৃহস্পতি এবং শুক্রবার বালি দ্বীপের নুরাহ রাই বিমানবন্দরে কোনো আন্তর্জাতিক ফ্লাইট নামার কথা নেই।
যেসব দেশের পর্যটকরা ভ্রমণের অনুমতি পেয়েছেন বুধবার সন্ধ্যায় কর্মকর্তারা সেসব দেশের একটি তালিকা প্রকাশ করেছেন। খুব শিগগিরই হোটেল এবং বিমানের ফ্লাইটের বুকিং শুরু হয়ে যাবে বলে আশা করা হচ্ছে।
নদী বন্দর / পিকে