গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর আগ্রাসন বন্ধের কোনো লক্ষণই দেখা যাচ্ছে না। নতুন করে বুধবার (৯ অক্টোবর) ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় আরও কমপক্ষে ৬৪ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। এদের মধ্যে অধিকাংশই উত্তরাঞ্চলের। সেখানে ছয় দিন ধরে অবরোধের কারণে জাতিসংঘের যেসব স্কুল আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে কাজ করছিল এবং একই সঙ্গে হাসপাতালগুলো বন্ধ করতে বাধ্য করা হয়েছে। খবর আল জাজিরার।
এদিকে পশ্চিম তীরে গুলি করে কমপক্ষে চার ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে ইসরায়েল। নাবলুস শহরের গভর্নর এই ঘটনাকে একটি কাপুরুষোচিত এবং ইচ্ছাকৃত হত্যাকাণ্ড বলে উল্লেখ করেছেন।
ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী লেবাননেও হামলা অব্যাহত রেখেছে। দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর ওয়ার্দানিয়েহতে কমপক্ষে পাঁচজন এবং টায়ার জেলায় আরও পাঁচজন প্যারামেডিককে হত্যা করা হয়েছে বলে জানা গেছে।
প্রায় এক বছর ধরে গাজায় হামলা অব্যাহত রেখেছে ইসরায়েল। সেখানে ইতোমধ্যেই ৪২ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এখন পর্যন্ত কমপক্ষে ৪২ হাজার ১০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। এছাড়া আহত হয়েছে আরও ৯৭ হাজার ৭২০ জন।
একদিন আগেই ইসরালের বিমান বাহিনী হিজবুল্লার প্রায় ১৮৫টি এবং হামাসের ৪৫টি লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালিয়েছে। বিভিন্ন স্থানে ভবন, রকেট লঞ্চার এবং হামাস ও হিজবুল্লাহ যোদ্ধাদের লক্ষ্য করে বিমান হামলা চালানো হয়েছে।
অপরদিকে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু লেবাননকে সতর্ক করেছেন যে, এটি ‘গাজার মতো ধ্বংসযজ্ঞের মুখোমুখি হতে পারে’। লেবাননের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় মঙ্গলবার জানিয়েছে যে, সোমবার সারাদেশে ৩৬ জন নিহত এবং আরও ১৫০ জন আহত হয়েছে।
নেতানিয়াহু লেবাননের জনগণের উদ্দেশ্যে বলেছেন, তারা যেন গাজার মতো ধ্বংস ও দুর্ভোগ এড়াতে দেশটির সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহকে বিতাড়িত করে। ইসরায়েল হিজবুল্লাহর বিরুদ্ধে তাদের চলমান স্থল অভিযানের ব্যাপকতা আরও বৃদ্ধির পর মঙ্গলবার নেতানিয়াহু এই হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।
নদী বন্দর/এসএইচ