শুরুটা হয়েছিলো ভয়াবহ, দলের রানের খাতা খোলার আগেই সাজঘরে ফিরে যান দুই ওপেনার। সেখান থেকে মাঝে হাল ধরেন টপঅর্ডারের দুই ব্যাটার। কিন্তু শেষদিকের ভয়াবহ ব্যাটিং ধসে বিশ্বকাপের উদ্বোধনী ম্যাচে সংগ্রহটা বড় হয়নি পাপুয়া নিউগিনির (পিএনজি)।
স্বাগতিক ওমানের বোলিং তোপে একপর্যায়ে মাত্র ছয় রানে ৫ উইকেট হারিয়ে ফেলে পিএনজি। শেষ পর্যন্ত তাদের ইনিংস থেমেছে ৯ উইকেটে ১২৯ রানে। জয় দিয়ে বিশ্বকাপের যাত্রা শুরু করতে ওমানের সামনে এখন লক্ষ্য ১৩০ রানের।
ওমানের আল আমেরাতে বিশ্বকাপের উদ্বোধনী ম্যাচে টস জিতে আগে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন ওমান অধিনায়ক জিশান মাকসুদ। তার বোলিং তোপেই পড়েছে পিএনজি। নিজের দ্বিতীয় ওভারে চার বলে তিন উইকেট নিয়েছেন জিশান। সবমিলিয়ে ২০ রানে ৪ উইকেট নিয়েছেন তিনি।
টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ইনিংসের পঞ্চম বলেই সাজঘরে ফিরে যান টনি উরা। পরের ওভারের তৃতীয় বলে একই পথ ধরেন আরেক ওপেনার লেগা সিয়াকা। শূন্য রানে দুই উইকেট পতনের পর তবে তৃতীয় উইকেটে পাল্টা আক্রমণ করেন অধিনায়ক আসাদ ভালা ও চার নম্বরে নামা চার্লস আমিনি।
এ দুজনের জুটিতে মাত্র ১০ ওভারেই আসে ৮১ রান। ইনিংসের দ্বাদশ ওভারে রানআউটের মাধ্যমে ভাঙে এই জুটি। দূর্ভাগ্যজনক আউট হওয়ার আগে ৪ চার ও ১ ছয়ের মারে ২৬ বলে ৩৭ রান করেন আমিনি। তবে ব্যক্তিগত ফিফটি তুলে নেন অধিনায়ক ভালা।
ইনিংসের ১৫তম ওভারে কলিমউল্লাহর বলে আউট হন ভালা। তার ব্যাট থেকে আসে ৪ চার ও ৩ ছয়ের মারে ৪৩ বলে ৫৬ রানের ইনিংস। দলীয় ১০২ রানের মাথায় চতুর্থ ব্যাটসম্যান হিসেবে ভালার বিদায়ের পরপরই মূলত মোড়ক লাগে পিএনজির ইনিংসে।
শেষের ছয় ওভারে ছয় উইকেট হারিয়ে মাত্র ২৭ রান করতে পেরেছে পিএনজি। এর মধ্যে দলীয় ১১২ থেকে ১১৮ রানের মধ্যেই পাঁচটি উইকেট হারায় তারা। যার ফলে শেষ হয়ে যায় বড় স্কোর গড়ার সম্ভাবনা। তাদের ইনিংস থামে ৯ উইকেটে ১২৯ রানে।
ওমানের পক্ষে ২০ রানে ৪ উইকেট নিয়েছেন জিশান। এছাড়া বিলাল খান ও কলিমউল্লাহর শিকার ২টি করে উইকেট।
নদী বন্দর / সিএফ