টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ব্যর্থতার ষোলোকলা পূর্ণ করেই বোধ হয় দেশে ফেরার পণ করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। সেমিফাইনালের স্বপ্ন তো শেষ আগেই। একের পর এক লজ্জার রেকর্ড গড়তেও পিছপা হচ্ছে না টাইগাররা।
আগের ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে মাত্র ৮৪ রানে গুটিয়ে গিয়েছিল মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের দল। যেটা ছিল দেশের টি-টোয়েন্টি ইতিহাসে তৃতীয় সর্বনিম্ন সংগ্রহ।
এবার অস্ট্রেলিয়া আরও বড় লজ্জা দিলো বাংলাদেশকে। ৫ ওভার বাকি থাকতেই ইনিংস গুটিয়ে দিলো ৭৩ রানে। এটি টি-টোয়েন্টিতে টাইগারদের দ্বিতীয় সর্বনিম্ন দলীয় সংগ্রহের রেকর্ড।
টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে বরাবরের মতো শুরুতেই ধাক্কা খায় বাংলাদেশ। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষেও ওপেনিং জুটি দাঁড়াতেই পারেনি। প্রথম ওভারের তৃতীয় বলেই গোল্ডেন ডাকে সাজঘরের পথ ধরেন লিটন দাস।
মিচেল স্টার্কের ১৪৪ কিলোমিটার গতির এক ডেলিভারি বাইরে থেকে টেনে এনে বোল্ড হন লিটন। পরের ওভারে জশ হ্যাজলেউড তুলে নেন সৌম্য সরকারকে (৮ বলে ৫), তিনিও হন বোল্ড।
তৃতীয় ওভারে আরও এক উইকেট। এবার মুশফিকুর রহিমকে (২ বলে ১) এলবিডব্লিউ করেন গ্লেন ম্যাক্সওয়েল। ২.৫ ওভারে ১০ রানেই ৩ উইকেট হারিয়ে বসে বাংলাদেশ।
ব্যাটারদের সেই আসা-যাওয়ার মিছিল আর একটু থেমেছিল ষষ্ঠ ওভার পর্যন্ত। চার বলের ব্যবধানে দুই তরুণ নাইম শেখ (১৬ বলে ৩ বাউন্ডারিতে ১৭) আর আফিফ হোসেন ধ্রুব (৪ বলে ০) ফিরে সেই চাকা আবারও চালু করে দেন।
এরপর শামীম হোসেন পাটোয়ারী নেমে ঝড় তোলার চেষ্টা করেছিলেন। ১১তম ওভারে অ্যাডাম জাম্পা তাকে উইকেটরক্ষকের ক্যাচ বানান। ১৮ বলে একটি করে চার-ছক্কায় শামীম করেন ১৮ রান। পরের বলে মেহেদি হাসান এলবিডব্লিউ হন গোল্ডেন ডাকে।
একটা প্রান্ত ধরে ছিলেন অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। সতীর্থদের এমন আসা-যাওয়া থেকে তাল সামলে রাখতে পারেননি তিনিও। লেগ সাইডে বেরিয়ে যেতে থাকা বলে ব্যাট লাগিয়ে উইকেটরক্ষকের ক্যাচ হন মাহমুদউল্লাহ। ১৮ বলে ২ বাউন্ডারিতে তিনি তখন ১৬ রানে।
৬৫ রানে ৮ উইকেট হারানো বাংলাদেশ এরপর আর ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি। বাকি ২ উইকেট হারিয়েছে আর ৮ রান যোগ করে। মোস্তাফিজুর রহমান আউট হন ৯ বলে ৪ রানে, তাসকিন আহমেদ ১১ বলে ৬ রানে অপরাজিত থাকেন।
বাংলাদেশের এই ধ্বংসযজ্ঞ ঘটানোর নায়ক অ্যাডাম জাম্পা। অসি লেগস্পিনার ৪ ওভারে মাত্র ১৯ রান দিয়ে নেন ৫টি উইকেট। ২টি করে মিচেল স্টার্ক আর জশ হ্যাজলেউডের।
নদী বন্দর / পিকে