হাতে ছিল ৬ বল, ইংল্যান্ডের দরকার ছিল ১৪ রান। দুই ইংলিশ ব্যাটার হয়তো ম্যাচ শেষ করে আসার পরিকল্পনা করছিলেন। তবে শেষ মুহূর্তে হ্যাটট্রিক করে সব হিসাব নিকাশ পাল্টে দিলেন কাগিসো রাবাদা।
আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ও টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ দু’জায়গাতেই প্রথম প্রোটিয়া বোলার হিসেবে হ্যাটট্রিক করলেন রাবাদা।
শেষ ওভারে বোলিং করার আগে নিজের তিন ওভারে রাবাদা দিয়েছিলেন ৪৫ রান। এই ইকোনমিই হয়তো ইয়ন মরগ্যান ও ক্রিস ওকসকে ভরসা যোগাচ্ছিল।
ওভারের প্রথম বলে রাবাদার স্লোয়ারকে তুলে মেরেছিলেন ওকস। কাউ কর্নারে দুর্দান্ত ভারসাম্য রক্ষা করে ছক্কা বাঁচিয়ে ক্যাচ ধরলেন অ্যানরিখ নরকিয়া।
দ্বিতীয় বলটি আবারও স্লোয়ার করলেন রাবাদা। এবার পুল করতে গিয়ে ডিপ মিড উইকেটে কেশব মহারাজের তালুবন্দি হলেন মরগ্যান। পরের বলে আরও একটি স্লোয়ারে ক্রিস জর্ডানকে লংঅফে ডেভিড মিলারের তালুবন্দী করে রাবাদা করলেন ঐতিহাসিক হ্যাটট্রিক।
রাবাদার এই হ্যাটট্রিক টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ইতিহাসে চতুর্থ। আগের তিন হ্যাটট্রিক করেছিলেন ব্রেট লি, কার্টিস কাম্ফার ও ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা। যেখানে লি বাদে বাকি তিন বোলারের হ্যাটট্রিক হয়েছে এই বিশ্বকাপেই!
নদী বন্দর / জিকে