1. badsha.dru@gmail.com : admi2017 :
  2. nadibandar2020@gmail.com : Nadi Bandar : Nadi Bandar
ম্যাচ জিততে এতো তাড়া তাদের! - Nadibandar.com
সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৪:৫৫ পূর্বাহ্ন
নদী বন্দর ডেস্ক:
  • আপডেট টাইম : রবিবার, ৭ নভেম্বর, ২০২১
  • ১৫৬ বার পঠিত

‘চার-ছক্কা হই-হই, বল গড়াইয়া গেল কই’-বাংলাদেশে অনুষ্ঠিত ২০১৪ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের থিম সংটি বিশ্বকাপ ইতিহাসেরই অন্যতম জনপ্রিয় থিম সং। এই গানের মাধ্যমেই ফুটে উঠেছিল, টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে মাঠ কিংবা মাঠের বাইরে দর্শকরা ধুন্ধুমার ম্যাচ দেখতে কতটা মুখিয়ে থাকেন!

তবে এই ফরম্যাটের বিশ্বকাপে মাঝে-মধ্যে সেই চার-ছক্কার ওভারে দর্শকদের আক্ষেপেও পুড়তে হয়। কোনো দল শতরানের নিচে অলআউট হলে প্রতিপক্ষ খুব দ্রুত রান তাড়া করে ফেলে। ব্যাপারটা যেন অনেকটা অনুপম রায়ের অন্যতম জনপ্রিয় গানের একটি লাইন, ‘যেখানে শুরুর কথা বলার আগেই শেষ’-এর মতো। ক্রিকেট ইতিহাসে এমন উদাহরণ রয়েছে ছয়টি যার চারটিই আবার ঘটেছে এবারের বিশ্বকাপে!

১। ২৪ মার্চ,২০১৪; ভেন্যু: জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়াম, চট্টগ্রাম, বাংলাদেশ;
নেদারল্যান্ডস: ৩৯/১০(১০.৩), শ্রীলঙ্কা: ৪০/১ (৫); ফল: শ্রীলঙ্কা ৯ উইকেটে জয়ী।

জনপ্রিয় থিম সংটি যে বিশ্বকাপের, সেবারই সবচেয়ে বেশি বল হাতে রেখে জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছানোর বিশ্বরেকর্ড গড়ে শ্রীলঙ্কা। চট্টগ্রামে সেদিন টস জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল শ্রীলঙ্কা। অজন্থা মেন্ডিস (২.৩-০-১২-৩) ও অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউজের (৪-০-১৬-৩) দুর্দান্ত বোলিংয়ে ডাচদের রানের চাকা থেমে গিয়েছিল ৩৯ রানে। বিশ্বকাপ ইতিহাসে কোনো দলকে সর্বনিম্ন রানে গুটিয়ে দেয়ার পর ম্যাচটি লঙ্কানরা জিতেছিল ১৫ ওভার, অর্থাৎ ৯০ বল হাতে রেখেই।

২। ৪ নভেম্বর,২০২১; ভেন্যু: দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়াম, সংযুক্ত আরব আমিরাত;
বাংলাদেশ: ৭৩/১০ (১৫), অস্ট্রেলিয়া: ৭৮/২(৬.২); ফল: অস্ট্রেলিয়া ৮ উইকেটে জয়ী।

এই তো দুদিন আগের ঘটনা। দুবাইয়ে পড়ন্ত বিকেলে অস্ট্রেলিয়ার ম্যাচ জেতায় ছিল বড্ড তাড়া। নেট রানরেটের হিসাব মেলানো ছিল এর পেছনের সবচেয়ে বড় কারণ। সুপার টুয়েলভের এই ম্যাচে টস জিতে বাংলাদেশকে ব্যাটিংয়ে পাঠায় অস্ট্রেলিয়া। অ্যাডাম জাম্পার (৪-০-১৯-৫) স্পিন বিষে নীল হয়ে বাংলাদেশ গুটিয়ে যায় মাত্র ৭৩ রানে। জবাবে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরু থেকেই মারমুখী ভূমিকায় অবতীর্ণ হন ফিঞ্চ। ২০ বলে চারটি ছক্কা ও দুটি চারে ৪০ রান করেন অজি অধিনায়ক। অধিনায়কের বিদায়ের পর অস্ট্রেলিয়াকে দ্রুত জয়ের বন্দরে নিয়ে যান মিচেল মার্শ (৫ বলে ১৬*)।

৩। ৫ নভেম্বর,২০২১; ভেন্যু: দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়াম, সংযুক্ত আরব আমিরাত;
স্কটল্যান্ড: ৮৫/১০(১৭.৪), ভারত: ৮৯/২(৬.৩)
ফল: ভারত ৮ উইকেটে জয়ী।

বাংলাদেশের ধ্বসে পড়ায় একদিন পর সেই দুবাইতে একই নির্মমতার সাক্ষী স্কটল্যান্ড। এবার তাণ্ডবলীলা চালালো ভারত। ভারতের তাড়াহুড়োও কারণ ছিল নেট রানরেট বাড়িয়ে নেওয়া। সেজন্য স্কটল্যান্ডের দেওয়া ৮৬ রানের টার্গেটে দুই ভারতীয় ওপেনার রোহিত শর্মা ও লোকেশ রাহুল শুরু থেকেই মারমুখী ছিলেন।

বিশেষ করে, রাহুলকে হয়তো স্কটিশ বোলাররা সেদিন ‘টর্নেডো রাহুল’ বলে সম্বোধন করেছিলেন। কারণ এই ওপেনার ১৮ বলে ফিফটি তুলে নেন, যা যুবরাজ সিংয়ের (১২ বলে ৫০) পর ভারতীয়দের মধ্যে দ্বিতীয় দ্রুততম। রাহুল নিজে শেষ করে আসতে না পারলেও সূর্যকুমার যাদবের স্ট্রেইট সিক্সে ভারত খেলা শেষ করে দেয় ৩৯ বলে।

৪। ২২ অক্টোবর, ২০২১; ভেন্যু: শারজাহ ক্রিকেট স্টেডিয়াম, সংযুক্ত আরব আমিরাত;
নেদারল্যান্ডস: ৪৪/১০(১০); শ্রীলঙ্কা: ৪৫/২(৭.১); ফল: শ্রীলঙ্কা ৮ উইকেটে জয়ী।

চট্টগ্রাম, শারজাহ-কোনোটিই শ্রীলঙ্কার শহর না। তারপরও যেখানেই শ্রীলঙ্কা-নেদারল্যান্ডস ম্যাচ হোক না কেন, ডাচদের কাছে লঙ্কান খেলোয়াড়েরা যেন বনে যান ‘লঙ্কার রাবণ’। এবারও টস জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল শ্রীলঙ্কা। দুর্দান্ত বোলিংয়ে লঙ্কান বোলাররা ডাচদের গুটিয়ে দেন ৪৪ রানে। ৪৫ রানের লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে নেমে ওপেনার কুশল পেরেরার (২৪ বলে ৩৩*) ধীরস্থির ব্যাটিং সত্ত্বেও ৪৩ বলেই ম্যাচ শেষ করে দেয় শ্রীলঙ্কা।

৫। ১২ সেপ্টেম্বর,২০০৭; ভেন্যু: কিংসমিড, ডারবান;
কেনিয়া: ৭৩/১০(১৬.৫); নিউজিল্যান্ড: ৭৪/১(৭.৪); ফল: নিউজিল্যান্ড ৯ উইকেটে জয়ী।

বিশ্বকাপের প্রথম আসরেই এমন ঘটনা ঘটেছিল। ডারবানে টস জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল নিউজিল্যান্ড। কিউই পেসারদের তোপে (মার্ক গিলেস্পি: ২.৫-০-৭-৪, শেন বন্ড: ৪-১-১২-২, ক্রিস মার্টিন: ৪-১-১৪-২) মাত্র ৭৩ রানে গুটিয়ে যায় কেনিয়া। ৭৪ রানের লক্ষ্যে দুই কিউই ওপেনার লুই ভিনসেণ্ট (২০ বলে ২৭) ও ব্রেন্ডন ম্যাককালাম (১৩ বলে ১৬*) মিলে ৪.৩ ওভারে ৪০ রান করে। ভিনসেন্টের বিদায়ের পর পিটার ফুলটনকে (১৪ বলে ২১) সঙ্গে নিয়ে ম্যাককালাম ৪৬ বলেই কিউইদের জয়ের বন্দরে নিয়ে যান।

৬। ২৩ অক্টোবর,২০২১; ভেন্যু: দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়াম, সংযুক্ত আরব আমিরাত;
ওয়েস্ট ইন্ডিজ: ৫৫/১০(১৪.২); ইংল্যান্ড: ৫৬/৪(৮.২); ফল: ইংল্যান্ড ৬ উইকেটে জয়ী।

কলকাতা থেকে দুবাই-মাঝে কেটে গেছে পাঁচ বছর। কার্লোস ব্রাথওয়েট, বেন স্টোকসদের কেউই ছিলেন না এবার। তারপরও ইংলিশ খেলোয়াড়েরা যেন কিছুতেই ভুলতে পারছিলেন না ইয়ান বিশপের ‘কার্লোস ব্রাথওয়েট, রিমেম্বার দ্য নেইম’ বাক্যটি।

দুবাইয়ে টস জিতে বোলিং নিয়েই তাই উইন্ডিজদের ধসিয়ে দিলো ইংল্যান্ড। দুই স্পিনারের ঘূর্ণিতে (আদিল রশিদ:২.২-০-২-৪, মঈন আলী: ৪-১-১৭-২) ওয়েস্ট ইন্ডিজ গুটিয়ে যায় ৫৫ রানে। সেই রান ডিফেন্ড করতে নেমে ক্যারিবিয়ানরা একটু লড়াই করলেও, ৭০ বল হাতে রেখেই ৬ উইকেটের বিশাল জয় তুলে নেয় ইংলিশরা।

নদী বন্দর / জিকে

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved © 2020 Nadibandar.Com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com