‘৯৬ সালে বিশ্বব্যাংকের পরামর্শে যেসব আমলারা পাটশিল্পকে ধ্বংস করতে চেয়েছিল, তারাই আবারো ষড়যন্ত্র করেছে। এখন তারা সফল, কারণ ইতিমধ্যে পাটকল বন্ধ হয়ে গেছে,’ বলে মন্তব্য করেছেন পাট-সুতা ও বস্ত্রকল শ্রমিক কর্মচারী সংগ্রাম পরিষদের আহ্বায়ক সহিদুল্লাহ চৌধুরি।
সোমবার (৪ ডিসেম্বর) সকালে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি মিলনায়তনে পাটকল চালুর দাবিতে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, ‘পরাজিত আমলাদের এ অংশ যখনই দেশের দুর্বল অবস্থা দেখে তখনই সুযোগ নেয়। এবার তারা করোনা মহামারির সময়ে এ চাল খেলেছে। যাতে শ্রমিক ও পাটের পক্ষের লোকজন একত্রিত হয়ে তাদের ষড়যন্ত্র না রুখতে পারে। ২০০২ সালে ক্ষমতায় আসার ৯০ দিনের মাথায় এসব আমলারাই আদমজীকে ধ্বংস করেছিল। পরে গোল্ডেন হ্যান্ডশেকের মাধ্যমে প্রতারণা করে শ্রমিকদের অধিকার থেকে বঞ্চিত করা হয়েছিল। এবারও তাই হচ্ছে। শ্রমিকরা যেন অন্দোলন করতে না পারে সেজন্য তাদের কলোনী থেকে বিতাড়িত করা হচ্ছে। ন্যায্য পাওনা নিয়ে পায়তারা হচ্ছে।’
সহিদুল্লাহ চৌধুরি আরও বলেন, ‘এ শ্রমিকরাই বারবার জীবন দিয়ে এ খাতকে রক্ষা করেছে। এবারও করবে। কোনোক্রমেই পরাজিত শক্তির অপচেষ্টা সফল করতে দেয়া হবে না।’
এই শ্রমিক নেতা বলেন, ‘অর্থমন্ত্রী ও পাটমন্ত্রী পাটখাতকে উজ্জীবিত করার জন্য যোগ্য লোক নয়। তাদের অতীতও খারাপ। তাদের দুর্বলতার কারণে জাতীর জনক ও প্রধানমন্ত্রীর স্বপ্নের খাত ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে।’
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন শ্রমিক ফেডারেশনের যুগ্ম আহ্বায়ক কামরুল আহসান। তিনি বলেন, ‘আমরা সরকারকে দুটি প্রস্তাব করছি। এক, চীনের সরকার কতৃক প্রস্তাবিত এমওইউ’র ভিত্তিতে পাটকল আধুনিকায়ন করে চালু করা হোক। না হলে, ২০১৯ সালে শ্রমিক কর্মচারী ঐক্য পরিষদের প্রস্তাবিত ১২শ কোটি টাকা ব্যয়ে পাটকল আধুনিকায়ন করে চালু করা হোক। এ দুটি প্রস্তাবেই অর্থনীতিবিদ ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের সমর্থন রয়েছে। সরকার এ প্রস্তাবগুলো বিবেচনা করুক।’
এ সময় সংবাদ সম্মেলনে পাট-সুতা ও বস্ত্রকল শ্রমিক কর্মচারি সংগ্রাম পরিষদের অন্যান্য নেতা-সদস্যসহ ভিন্ন কয়েকটি শ্রমিক সংগঠনের নেতা এবং বন্ধ হওয়া পাটকলগুলোর শ্রমিক ও নেতারা উপস্থিত ছিলেন।