ইসরায়েলের সামরিক ঘাঁটি থেকে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র এবং গোলাবারুদ চুরি হয়েছে। এমন খবর উঠে এসেছে ইসরায়েলি দৈনিক ইয়েদিয়ত আহারোনতের এক প্রতিবেদনে।
পত্রিকাটি জানিয়েছে, ইসরায়েলের ‘আন নাকাব’ এলাকায় প্রশিক্ষণের কাজের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ সামরিক ঘাঁটি রয়েছে। আর সেখানকার অস্ত্র ভান্ডার থেকেই চুরি হয়েছে অস্ত্র ও গোলাবারুদ। অজ্ঞাত ব্যক্তিরা এর সঙ্গে জড়িত। তবে তাদেরকে এখনও পর্যন্ত চিহ্নিত করা সম্ভব হয়নি।
পত্রিকাটি আরও জানিয়েছে, তারা বিভিন্ন সূত্র থেকে জানতে পেরেছে ৫ দশমিক ৫৬ মিলিমিটার ব্যাসার্ধের ৯৩ হাজারের বেশি গুলি চুরি হয়েছে। এই চুরির ঘটনাকে বড় ধরণের দুর্ঘটনা হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে।
এর পাশাপাশি ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর একটি সূত্র জানিয়েছে, দক্ষিণাঞ্চলের একটি সামরিক ঘাঁটির গোলাবারুদের গুদাম থেকেও ব্যাপক পরিমাণ বিস্ফোরক চুরি হয়েছে।
প্রসঙ্গত, ইসরায়েলে গত কয়েক বছরে অস্ত্র ও গোলাবারুদ চুরি যাওয়ার বেশ কয়েকটি ঘটনা ঘটেছে। গত বছর আল-জালিল সামরিক ঘাঁটি থেকে এম-সিক্সটিন মডেলের ৪৬টি রাইফেল চুরি হয়েছিল। এছাড়া কারমিয়িল ঘাঁটি থেকে ১৫ ধরণের বিভিন্ন অস্ত্র খোয়া যায়। প্রতি বছরই ইসরায়েলের সামরিক ঘাঁটিগুলি থেকে অস্ত্র চুরি যাওয়ার একাধিক ঘটনা ঘটে থাকে।
পৃথিবীর নানা প্রান্তে এরকম সামরিক ঘাঁটি থেকে অস্ত্র চুরি হতে দেখা যায়। নানা রকম চক্র কাজ করে এর পেছনে। কখনও কখনও এইসব অস্ত্র চুরির পেছনে সরকারি লোকেদেরও হাত থাকে। তাদের কেউ কেউ ধরা পড়েন আবার কখনও কখনও বিষয়টি ধামাচাপা পড়ে যায়।
এর আগে গত সপ্তাহে ইয়েদিয়ত আহারোনত পত্রিকা জানায় আমিরাতের হোটেলগুলো থেকে জিনিসপত্র চুরি করছে ইসরায়েলি পর্যটকরা। তেল আবিব ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের মধ্যে সরাসরি বিমান চলাচল শুরু হয়েছে মাত্র এক মাস হলো, এর মধ্যেই ইসরায়েলি পর্যটকদের কারণে অতিষ্ট আমিরাতের হোটেলগুলো।
ইসরায়েলের সঙ্গে সুসম্পর্ক তৈরি করে যেন বিপাকেই পড়েছে সংযুক্ত আরব আমিরাত। ইসরায়েলি পর্যটকদের ‘জ্বালায়’ হোটেলগুলোতে ছোটখাটো জিনিস রাখা কঠিন হয়ে গেছে তাদের জন্য। ব্যাগে ভরে নিয়ে যাওয়া যায় এমন যা কিছুই পাচ্ছে, সব চুরি করে নিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েলিরা।
পত্রিকাটির কাছে এক ব্যবসায়ী বলেন, আমি অনেক বছর আগে আমিরাতে এসে ব্যবসা শুরু করেছিলাম। গতমাসে হোটেলে পৌঁছে রীতিমতো আতঙ্কিত হয়ে পড়ি। সেখানে ইসরায়েলিরা হোটেল ছাড়ার আগে তাদের ব্যাগ খুলে রুমের খোয়া যাওয়া জিনিসপত্র খোঁজা হচ্ছিল।
আমিরাতের এক হোটেল ম্যানেজার বলেন, সারাবিশ্ব থেকে শত শত পর্যটক আসেন আমাদের এখানে, ঝামেলা করেন খুব কম লোকই। সম্প্রতি আমরা ইসরয়েলি পর্যটকদের নিয়ে স্তম্ভিত। তারা হোটেল থেকে পরিবহনযোগ্য সব; যেমন- তোয়ালে, চা-কফির ব্যাগ, এমনকি ল্যাম্পও নিয়ে যাচ্ছে।
নদী বন্দর / এমকে