সুদানে অভ্যুত্থানবিরোধী বিক্ষোভে নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে পাঁচজন নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। আহত হয়েছেন আরও অনেকে। স্থানীয় সময় শনিবার (১৩ নভেম্বর) এ ঘটনা ঘটে। দেশটির স্বাধীন চিকিৎসকদের সেন্ট্রাল কমিটির বরাত দিয়ে বিবিসি জানিয়েছে এ তথ্য।
সেনা অভ্যুত্থানের বিরুদ্ধে আন্দোলন অব্যাহত রয়েছে দেশটিতে। শনিবারও দেশজুড়ে বিক্ষোভে অংশ নেয় হাজার হাজার মানুষ। চিকিৎসকদের সংগঠনটি জানায়, বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে নিরাপত্তাবাহিনীর সদস্যদের সংঘর্ষে চারজন গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান এবং কাঁদানে গ্যাস ছুড়লে ক্যানিস্টারের আঘাতে আরও একজনের মৃত্যু হয়।
দেশটির পুলিশ বিষয়টি অস্বীকার করেছে। রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনের বার্তায় বলা হয়, সংঘর্ষে ৩৯ জন পুলিশ গুরুতর আহত হয়েছেন।
সামরিক বাহিনীর নেতৃত্বে দেশ পরিচালনার কাউন্সিল ঘোষণার একদিন পর এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটলো। কাউন্সিলে জেনারেল আবদেল ফাত্তাহ আল-বুরহানের নাম কাউন্সিলের প্রধান হিসেবে বৃহস্পতিবার ঘোষণা করা হয়।
২৫ অক্টোবর দেশটির শীর্ষ রাজনৈতিক নেতাদের বন্দি করে ক্ষমতা দখল করেন জেনারেল ফাত্তাহ আল-বুরহান। প্রধানমন্ত্রী আব্দাল্লাহ হামদককে গৃহবন্দি ও বেশ কয়েকজন মন্ত্রীকে গ্রেফতারের পাশাপাশি দেশব্যাপী জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেন তিনি।
এ ঘটনার পরপরই সামরিক অভ্যুত্থানের প্রতিবাদে রাস্তায় নামেন সুদানের হাজার হাজার মানুষ। এর আগে সুদানের স্বাধীন চিকিৎসকদের সংগঠনের তথ্য অনুযায়ী, সহিংসতায় প্রাণ যায় ১৪ জনের এবং আহত হন তিনশ জনের মতো মানুষ।
অরাজনৈতিক পরিস্থিতির কারণে দেশটির সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে নিন্দার ঝড় ওঠে আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও। সুদানে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠায় সরব হয় ইউরোপীয় ইউনিয়ন, যুক্তরাষ্ট্রসহ বিভিন্ন দেশ ও সংস্থা।
সুদানে তিন দশক ধরে প্রেসিডেন্টের ক্ষমতায় ছিলেন ওমর আল-বশির। ২০১৯ সালে ওমর আল-বশিরের সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করে দেশটির সেনাবাহিনী। এরপর ক্ষমতা ভাগাভাগি করে দেশ পরিচালনা করছিল সামরিক বাহিনী ও বেসামরিক সরকার।
নদী বন্দর / এমকে