রাজধানীর বেইলি রোডে বেপরোয়া গাড়ি চালিয়ে রিকশাচালক, আরোহী বাবা ও তার কোলের শিশুকে আহত করা প্রাইভেটকারচালককে আটক করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) তেজগাঁও বিভাগ। আটক ওই কিশোর রাজধানীর একটি স্কুলের দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী।
শনিবার দিনগত রাতে তাকে চুয়াডাঙ্গা থেকে আটক করা হয়। ওই কিশোরকে ঢাকায় নিয়ে আসা হচ্ছে বলে রোববার (২১ নভেম্বর) জানিয়েছেন তেজগাঁও বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) বিপ্লব কুমার সরকার।
তিনি বলেন, সাইবার পেট্রোলিংয়ের অংশ হিসেবে ভাইরাল ভিডিওটি আমাদের নজরে আসে। তাৎক্ষণিকভাবে সব অফিসারকে প্রাইভেটকারটির চালককে শনাক্ত করে গ্রেফতারের নির্দেশ দেওয়া হয়। শনিবার দিনগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে হাতিরঝিল থানা এলাকা থেকে প্রাইভেটকারটি হেফাজতে নেয় হাতিরঝিল থানা পুলিশ। এরপর রাত ৩টা ৪০ মিনিটের দিকে মেহেরপুর জেলা পুলিশের সহযোগিতায় চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা থানাধীন হাট বোয়ালিয়া নতুন বাজার এলাকা থেকে চালককে আটক করা হয়। তাকে ঢাকায় আনা হচ্ছে।
ওই কিশোরের বাসা রাজধানীর মগবাজারে। সে উইলস লিটল ফ্লাওয়ার স্কুলের দশম শ্রেণির ছাত্র। গত শুক্রবার বেইলি রোডে বেপরোয়া প্রাইভেটকারে রিকশা গুঁড়িয়ে দেওয়ার ঘটনাটি ঘটে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ওই ঘটনার ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, বেপরোয়া গতিতে ছুটে আসা প্রাইভেটকারের ধাক্কায় মুহূর্তে গুঁড়িয়ে যায় রিকশাটি। এসময় রিকশার যাত্রী ফখরুল হাসানের কোলে থাকা তার শিশুসন্তান ছিটকে পড়লে তার পা ভেঙে যায়। হাত ভেঙেছে ফখরুলেরও। আহত হন রিকশাচালকও।
ঘটনাস্থলের পাশে থানা পুলিশের একটি গাড়ি ছিল। তারা আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায় ও বেপরোয়া গাড়িটিকে ধরারও চেষ্টা করে। তবে চালক তাদের ফাঁকি দিয়ে পালিয়ে যায়।