নিরাপদ সড়কের দাবিতে রাজধানীর রামপুরায় অবস্থান নেওয়া শিক্ষার্থীদের তোপের মুখে ড্রাইভিং লাইসেন্সের মেয়াদ না থাকায় এক পুলিশ সদস্যকে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
বুধবার (১ ডিসেম্বর) দুপুর ১টার দিকে রামপুরা ব্রিজে পুলিশের একটি গাড়িকে দাঁড় করায় শিক্ষার্থীরা। এ সময় তারা চালকের কাছে লাইসেন্স দেখতে চায়।
আন্দোলনরত এক শিক্ষার্থী বলে, আমরা লাইসেন্স দেখতে চাইছিলাম। তিনি কিছুই দেখাতে পারেননি। উল্টো আমাদের ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে দেন।
এ সময় ওই পুলিশ কে উদ্দেশ্য করে ‘ভুয়া, ভুয়া’ ‘মাফ চান, মাফ চান’ স্লোগান দিতে থাকে শিক্ষার্থীরা।
পরে শিক্ষার্থীদের সান্ত্বনা দিতে এগিয়ে আসেন খিলগাঁও জোনের এডিসি নুরুল আমীন। তিনি ওই চালক পুলিশ সদস্যের পক্ষে শিক্ষার্থীদের ‘স্যরি’ বলেন। পরে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের তোপের মুখে জরিমানা করার আশ্বাস দেন।
শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে নুরুল আমীন বলেন, ‘তোমরা সবাই ভদ্র শিক্ষার্থী। গত কয়েক দিন ধরেই তোমরা আন্দোলন করছ। আমরা তোমাদের কোনো কিছুই বলিনি। তোমরাও শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করছ। কিন্তু এর মধ্যেই সুযোগসন্ধানীরা আছে। তারা সুযোগ নিতে চাইবে। তাই তোমরা শান্ত থাকো। আমি নিজে ট্রাফিক সার্জেন্ট হয়ে লাইসেন্স না থাকায় মামলা দেবো।
পরে ওই চালককে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
শিক্ষার্থীরা ওই গাড়ির লাইসেন্স দেখতে চাইলে তাও দেখাতে পারেননি ওই পুলিশ সদস্য।
এ নিয়ে খিলগাঁও জোনের এডিসি বলেন, এটা সরকারি গাড়ি। ওপর মহল থেকে প্রসেসিংয়ের মাধ্যমে আমাদের কাছে আসে। এটার লাইসেন্স হয় না। ওই গাড়িটি পুলিশের ‘এমপি বিভাগ’ এর আওতায় ছিল।
রামপুরায় অনাবিল বাসের চাপায় একরামুন্নেসা স্কুলের এক শিক্ষার্থী মাঈনুদ্দীন নিহতের প্রতিবাদে ও নিরাপদ সড়কের দাবিতে ওই এলাকায় দ্বিতীয় দিনের মতো রাস্তায় অবস্থান করছে শিক্ষার্থীরা। পূর্ব নির্ধারিত কর্মসূচি অনুযায়ী বুধবার বেলা ১১টা থেকে রামপুরা ব্রিজে অবস্থান নেয় তারা। এ সময় রাস্তায় চলাচলকারী প্রতিটি গাড়ির লাইসেন্স ও চালকের লাইসেন্স নিশ্চিত করে রাস্তা ছাড়ে তারা।
নদী বন্দর / এমকে