গুণগত মান ভালো না হলে আমন চাল গুদামে ঢুকবে না বলে সংশ্লিষ্টদের সতর্ক করে দিয়েছেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার।
সোমবার (৬ ডিসেম্বর) সচিবালয়ে তার অফিস কক্ষ থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে অভ্যন্তরীণ আমন সংগ্রহ ২০২১-২২ অগ্রগতি সংক্রান্ত চট্রগ্রাম ও সিলেট বিভাগের পর্যালোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এ কথা বলেন।
চলতি আমন মৌসুমে সরকার অভ্যন্তরীণ বাজার থেকে ২৭ টাকা কেজি দরে তিন লাখ মেট্রিক টন ধান ও ৪০ টাকা কেজি দরে পাঁচ লাখ টন সিদ্ধ চাল কিনবে।
খাদ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় আমন ধানের উৎপাদন ভালো হয়েছে। সরকার এ বছর আমন ধান ও চালের যৌক্তিক দাম নির্ধারণ করেছে।’
আমন সংগ্রহ অভিযান সফল করতে খাদ্য অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের আরও তৎপর হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার।
তিনি বলেন, ‘চালের গুণগত মান ভালো না হলে সেই চাল যেন খাদ্য গুদামে না ঢোকে সে বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে। আমন সংগ্রহে কোনো গাফিলতি বরদাস্ত করা হবে না।’
মন্ত্রী বলেন, ‘খাদ্য গুদামে ধান বিক্রি করতে গিয়ে কৃষক যেন কোনোভাবে হয়রানির শিকার না হন সে বিষয়ে খাদ্য বিভাগের কর্মকর্তাদের যত্নবান হতে হবে।’
সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা ছাড়া আমন সংগ্রহ অভিযান সফল করা কষ্টসাধ্য হবে উল্লেখ করে মন্ত্রী অতিদ্রুত কর্মকর্তাদের ডিসেম্বর ও জানুয়ারি মাসের আমন ধান ও চাল সংগ্রহের পরিকল্পনা খাদ্য অধিদপ্তরে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, বেশ কিছু জেলায় সংগ্রহ অভিযান সন্তোষজনক এবং সেই সব জেলায় নতুন করে ইতোমধ্যে আরও বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
‘চালের বাজার স্থিতিশীল রাখতে জেলা প্রশাসনের সহায়তায় নিয়মিত বাজার মনিটরিং করা হচ্ছে। পাইকারি বাজারের পাশাপাশি মিল গেইট, আড়ত ও খুচরা বাজারেও মনিটরিং বাড়াতে হবে’ বলেন সাধন চন্দ্র মজুমদার।
খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব মোছাম্মৎ নাজমানারা খানুমের সভাপতিত্বে খাদ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক শেখ মজিবুর রহমান ও অতিরিক্ত সচিব মো. আবদুল হান্নান সভায় বক্তৃতা করেন।
মতবিনিময় সভায় চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের বিভাগীয় কমিশনার, জেলা প্রশাসক, কৃষি বিভাগের কর্মকর্তা, খাদ্য বিভাগের মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তা, কৃষক প্রতিনিধি ও মিল মালিক প্রতিনিধিরা ভার্চুয়ালি যুক্ত ছিলেন।
নদী বন্দর / জিকে