স্বাধীনতার ৫০ বছরে উৎসবে মেতেছে বাঙালি জাতি। গলিপথ থেকে প্রধান সড়ক, প্যারেড গ্রাউন্ড থেকে বিনোদনকেন্দ্র সবখানেই লাল-সবুজের বিজয়োল্লাস।
বৃহস্পতিবার (১৬ ডিসেম্বর) বিভিন্ন বিনোদনকেন্দ্রের মতো মিরপুর জাতীয় চিড়িয়াখানায় সকাল থেকে দর্শনার্থীদের ঢল নেমেছে। শিশু থেকে বয়োবৃদ্ধ, সব বয়সী মানুষের আগমনে মুখর চিড়িয়াখানা। বাসে করে বিভিন্ন জেলা থেকেও এসেছেন দর্শনার্থীরা।
বেড়াতে আসাদের পোশাকে লাল-সবুজের ছোয়া। অনেকেই হাত ও মাথায় লাল-সবুজের ব্যান্ড পরে এসেছেন। হাতে ছোট পতাকা। চিড়িয়খানার সামনে বিজয়ের রঙে রাঙিয়ে দিতে ঘুরছেন আঁকিয়েরা।
অন্যান্য দিনে ১০-১২ হাজার দর্শনার্থী হলেও এদিন দিনব্যাপী টার্গেটের চেয়ে বেশি দর্শনার্থীর আগমন হবে বলে আশা করছেন চিড়িয়াখানার পরিচালক ডা. আব্দুল লতিফ।
তিনি বলেন, ‘আজকে তো মানুষের ঢল নেমেছে। দর্শনার্থীদের নিরাপত্তায় সব ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। আমি নিজে সব কিছু মনিটরিং করছি। আশা করি, দর্শনার্থীর সংখ্যা ৬০ হাজার ছাড়িয়ে যাবে।’
চিড়িয়াখানায় এদিন বিশেষ আয়োজন না থাকলেও পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন এবং নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে বলে জানান পরিচালক।
বেসরকারি চাকরিজীবী তোফাজ্জেল হোসেন স্ত্রী-সন্তানসহ এসেছেন চিড়িয়াখানায়। তিনি বলেন, ‘কর্মব্যস্ততার মাঝে বাচ্চাদের সময় দেওয়া হয়ে ওঠে না। ছুটির দিন এবং বাসার কাছেই চিড়িয়াখানা হওয়ায় চলে এলাম।’
তিনি বলেন, ‘আজ মানুষের অনেক ভিড়। টিকিট কিনতে লম্বা লাইনে দাঁড়াতে হচ্ছে। আশা করছি, সবার সময় ভালো কাটবে।’
নদী বন্দর / সিএফ