প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার তথ্য-প্রযুক্তিবিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় বলেছেন, বাংলাদেশের অগ্রগতির ভিত্তি রচনা করেছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। এখন সেই দেশকে এগিয়ে নিচ্ছেন বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা। রবিবার (১৯ ডিসেম্বর) রাতে এক ফেসবুক পোস্টে এ কথা লিখেছেন তিনি।
সজীব ওয়াজেদ জয় এক ফেসবুক পোস্টে লিখেন, ২০২১ সালে বিজয়ের সুবর্ণজয়ন্তী (৫০ বছর) উদযাপন করছে বাংলাদেশ, স্বাধীন বাংলাদেশের এই ৫০ বছরের মধ্যে আওয়ামী লীগ সরকার দেশের জন্য কাজ করার সুযোগ পেয়েছে অর্ধেকেরও অনেক কম সময়।
তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধে রক্তাক্ষয়ী বিজয়ের মাধ্যমে বহুল কাঙ্ক্ষিত স্বাধীনতা লাভের পর, মাত্র সাড়ে তিন বছরে যুদ্ধবিধ্বস্ত একটি দেশকে পুনর্গঠিত করেছিলেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। বাংলাদেশের স্বল্প সম্পদ ও মানবসম্পদকে কাজে লাগিয়ে তিনি যখনই একটি স্বয়ংসম্পূর্ণ বাংলাদেশ গড়ার পথে এগোচ্ছিলেন, ঠিক তখনই বাংলাদেশের স্বাধীনতাবিরোধী দেশি-বিদেশি চক্র তাকে সপরিবারে হত্যা করে। এরপর স্বৈরশাসকদের দুঃশাসনে বাংলাদেশ উন্নতি করা তো দূরের কথা, দেশ আবার নিমজ্জিত হতে থাকে এক অতল অন্ধকারে।
তিনি আরো বলেন, সেই দুরবস্থা থেকে বাংলাদেশকে গড়ার প্রত্যয়ে, জনগণের ম্যান্ডেট নিয়ে, ১৯৯৬ সালে আবারও ক্ষমতায় আসে আওয়ামী লীগ সরকার, দেশের ভঙ্গুর অর্থনীতিকে শক্তিশালী করে তোলে। এরপর আবার ২০০১ সালে ক্ষমতায় আসে স্বাধীনতাবিরোধী বিএনপি-জামায়াত জোট।
১৯৭১-এর গণহত্যা ও ধর্ষণের সঙ্গে জড়িত যুদ্ধাপরাধীরা বাংলাদেশের মন্ত্রী বনে যায়। বিএনপি জামায়াতের সেই দুঃশাসনের আমলে পর পর পাঁচবার দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন হয় বাংলাদেশ। ‘হাওয়া ভবন’ হয়ে ওঠে বাংলাদেশের সন্ত্রাসবাদ, দুর্নীতি ও দুঃশাসনের কেন্দ্রবিন্দু।
পরবর্তীতে আবার ২০০৮ সালের নির্বাচনে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়ে ক্ষমতায় আসে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোট সরকার। সেই নির্বাচনের আগে আওয়ামী লীগ তাদের নির্বাচনী ইশতেহারে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার ঘোষণা দিয়েছিল। আজ সেই ডিজিটাল বাংলাদেশ অর্জনের মাধ্যমে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ।
বাংলাদেশের অগ্রগতির ভিত্তি রচনা করেছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান- এখন সেই দেশকে এগিয়ে নিচ্ছেন বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা। এই অ্যালবামে তুলে ধরা হয়েছে দেশের অর্থনীতি, স্বাস্থ্য সুরক্ষা, প্রবৃদ্ধি, মানুষের জীবনমান উন্নয়নে আওয়ামী লীগ সরকারের উল্লেখযোগ্য কিছু অর্জনের তথ্য।
নদী বন্দর / এমকে