স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অধীন সরকারি ও বিশেষায়িত হাসপাতালে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের চিকিৎসাসেবা দিতে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয় ও স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের মধ্যে সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) নবায়ন করা হয়েছে। এ সমঝোতা স্মারক আগামী পাঁচ বছর পর্যন্ত বলবৎ থাকবে।
বৃহস্পতিবার (২৩ ডিসেম্বর) মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সম্মেলনকক্ষে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের পক্ষে সচিব খাজা মিয়া এবং স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের পক্ষে সিনিয়র সচিব লোকমান হোসেন মিয়া সমঝোতা স্মারকে সই করেন। এ সময় মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয় এবং স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে ২০১৮ সালে তিন বছরের জন্য এই দুই প্রতিষ্ঠানের মধ্যে সমঝোতা স্মারক সই হয়েছিল। একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা সর্বোচ্চ ৭৫ হাজার টাকা পর্যন্ত বিনামূল্যে চিকিৎসাসেবা এসব হাসপাতাল থেকে পাবেন। এরমধ্যে চিকিৎসা পরামর্শ, বিভিন্ন টেস্ট, ওষুধ, বেড, পথ্য এবং নার্সিং সেবাও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে বলে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়েছে।
বীর মুক্তিযোদ্ধাদের বিনামূল্যে চিকিৎসাসেবা দিতে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের ২০১৫ সালের নীতিমালায় সংশোধনী এনে ২০২১ সরকারি হাট-বাজারসমূহের ইজারালব্ধ আয়ের চার শতাংশ অর্থব্যয় নীতিমালা জারি করা হয়েছে।
এতে বলা হয়, মন্ত্রণালয় জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের সরকারি হাসপাতালসহ, মেডিকেল কলেজ ও ২২টি বিশেষায়িত হাসপাতালে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের বিনামূল্যে ৭৫ হাজার টাকা পর্যন্ত চিকিৎসা চিকিৎসাসেবা দিতে পারবে।
যে ২২ বিশেষায়িত হাসপাতালে চিকিৎসা
ঢাকার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতাল, ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল, শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল, স্যার সলিমুল্লাহ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল, জাতীয় ক্যানসার গবেষণা ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল, জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠান (নিটোর), জাতীয় কিডনি ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল, জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল, জাতীয় চক্ষুবিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল, জাতীয় বক্ষব্যাধি ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল, ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্সেস হাসপাতাল, জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল, খুলনার শহীদ শেখ আবু নাসের বিশেষায়িত হাসপাতাল, গোপালগঞ্জের শেখ ফজিলাতুন্নেসা মুজিব চক্ষু হাসপাতাল ও প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠান, চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল, ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল, সিলেটের এম এ জি ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল, বরিশালের শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল, ঢাকার জাতীয় হৃদরোগ ফাউন্ডেশন এবং বারডেম জেনারেল হাসপাতাল।