ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে লঞ্চে অগ্নিকাণ্ডে দগ্ধদের মধ্যে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি ১৫ জনের মধ্যে সাতজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাদের মধ্যে চারজনকে আইসিইউতে রাখা হয়েছে এবং তিনজন রয়েছেন লাইফ সাপোর্টে।
সোমবার (২৭ ডিসেম্বর) সকালে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের প্রধান সমন্বয়ক ডা. সামন্ত লাল সেন সাংবাদিকদের এ তথ্য জানিয়েছেন।
ডা. সামন্ত লাল সেন বলেন, আমাদের এখানে এখন পর্যন্ত ২২ জন দগ্ধ রোগী চিকিৎসা নিয়েছেন। তাদের মধ্যে এখনো ১৫ জন ভর্তি আছেন। বর্তমানে চারজন আইসিইউতে ও তিনজনকে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়েছে। এই ৭ জনের প্রত্যেকের অবস্থা শঙ্কাজনক। এছাড় এই দুর্ঘটনায় বরিশালে ভর্তি করা হয় ৩৫ জনকে। তাদের মধ্যে ১৮ জনকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
গত ২৩ ডিসেম্বর দিনগত রাতে ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে বরগুনাগামী লঞ্চ এমভি অভিযান-১০ এ ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড ঘটে। খবর পেয়ে বরিশাল, পিরোজপুর, বরগুনা ও ঝালকাঠির কোস্ট গার্ড ও ফায়ার সার্ভিস উদ্ধারকাজ শুরু করে।
ওই সময় বরিশাল ফায়ার সার্ভিসের উপ-পরিচালক কামাল হোসেন ভূঁইয়া ব্রিফিংয়ে ৩০ জনের মরদেহ উদ্ধারের কথা জানান। পরে ঝালকাঠি জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার প্রশান্ত কুমার দে ৩৯ জনের মরদেহ উদ্ধারের তথ্য নিশ্চিত করেন।
দুপুর পৌনে ১টার দিকে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারজিয়া আক্তার নামে এক শিশুর মৃত্যু হয়। এ নিয়ে মৃত বেড়ে ৪০ জনে দাঁড়ায়।
এদিকে, ঢাকার শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে আনার পর হাবিব খান নামে একজনের মৃত্যু হয়, যা নিয়ে লঞ্চে অগ্নিকাণ্ডে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪১ জনে।
নদী বন্দর / জিকে