শেরপুরের নকলায় রাস্তার পাশে গলাকাটা মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
গ্রেফতাররা হলেন- মুনসুর আলী (৪০), আশিক মিয়া (২৫) ও আমির হোসেন (৩৫)। সোমবার (২৮ ডিসেম্বর) দিনগত রাতে নারায়ণগঞ্জ জেলার সিদ্দিরগঞ্জ এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
ক্লুলেস হত্যাকাণ্ডের রহস্য উন্মোচনের পর সিআইডি বলছে, নিহতের নাম মুনছুর আলী ফকির (৩৬)৷ তিনি জামালপুর ইসলামপুর থানার কাচিহারার হানিফ উদ্দিনের ছেলে।
ধারের পাওনা টাকার চাওয়ায় পরিকল্পিতভাবে গত ১২ ডিসেম্বর শেরপুরের নকলা উপজেলার ধনাকুশা নদীরপাড়ের কাঁচারাস্তার উপর থেকে গলাকেটে হত্যা করা হয় মুনছুরকে।
মঙ্গলবার (২৮ ডিসেম্বর) দুপুরে রাজধানীর মালিবাগ সিআইডি কার্যালয়ের মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান সিআইডির এলআইসি শাখার বিশেষ পুলিশ সুপার মুক্তা ধর।
তিনি বলেন, গত ১২ ডিসেম্বর শেরপুরের নকলা উপজেলার ধনাকুশা নদীরপাড়ের কাঁচারাস্তার উপর থেকে অজ্ঞাত এক যুবকের গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করা হয়। পরবর্তীতে জানা যায়, নিহতের নাম মুনছুর আলী ফকির। তিনি বিভিন্ন যানবাহনে হেলপারের কাজ করতেন। ওই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় বাবা হানিফ উদ্দিন (৬১) অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে শেরপুর জেলার নকলা থানায় মামলা করেন। সিআইডি মামলার ছায়া তদন্ত শুরু করে।
সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার মুক্তা ধর বলেন, বিভিন্ন তথ্য ও উপাত্ত বিচার বিশ্লেষণ করে জানা যায়, জামালপুরের মুনসুর আলী (৪০), গাজীপুর শ্রীপুরের আশিক মিয়া (২৫) ও শেরপুর নকলার আমির হোসেন (৩৫) হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত।
গ্রেফতারের পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা জানায়, নিহত মুনছুর আলী ফকির গ্রেফতার মুনসুরকে ছয় মাস আগে টাকা ধার দিয়েছিল। পরিমাণে ধারের সে টাকা অল্প হলেও তা পরিশোধ করছিল না মুনসুর। ওই পাওনা টাকা আদায়ের জন্য চাপ প্রয়োগ করলে মুনসুরের সঙ্গে কথা কাটাকাটি ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে।
ওই ঘটনাকে কেন্দ্র করে পরবর্তীতে মুনসুর অন্যদের সহযোগিতায় পূর্ব পরিকল্পিতভাবে ভিকটিমকে ডেকে নিয়ে গলা কেটে হত্যা করে।
নদী বন্দর / এমকে