ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে করোনা টিকার বুস্টার ডোজ দেওয়ার কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৮ ডিসেম্বর) সকাল ৮টা থেকে জরুরি বিভাগের আন্ডার গ্রাউন্ডে এ কার্যক্রম শুরু হয়। চলে বেলা আড়াইটা পর্যন্ত।
এদিন ঢাকা মেডিকেলে প্রথমে বুস্টার ডোজ নেন নাজমুল হোসেন চৌধুরী।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত উপ-পরিচালক ডা. আশরাফুল আলম বলেন, প্রতিদিন ৬৫০ জনকে বুস্টার ডোজ দেওয়া হবে। আজকে আমরা ৫৫০ জনকে এসএমএস দিয়েছি।
তিনি জানান, এসএমএস ছাড়া কাউকে বুস্টার ডোজ দেওয়া হচ্ছে না। যাদের মেসেজ এসেছে তাদের দেওয়া হচ্ছে।
পুরান ঢাকা থেকে বুস্টার ডোজ নিতে আসা ইমরান হোসেন (৬৫) বলেন, আমি আর আমার স্ত্রী মোছা. নুসরাত জাহান (৫০) প্রথম ও দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছি। এখন বুস্টার ডোজ নিতে এসেছি। আমার এসএমএস আসলেও স্ত্রীর আসেনি। তাই তাকে রেখেই টিকা নিয়েছি। তবে আমার স্ত্রী নিতে পারেনি এজন্য একটু খারাপ লাগছে।
মঙ্গলবার থেকে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে চিকিৎসক, নার্স, সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী, গণমাধ্যমকর্মী এবং বয়স্কদের বুস্টার ডোজ দেওয়া হচ্ছে। বুস্টার ডোজ হিসেবে দেওয়া হচ্ছে ফাইজারের টিকা। এর আগে গত ১৯ ডিসেম্বর করোনাভাইরাসের নতুন ধরন ওমিক্রন রোধে ১৭ জন প্রবীণ নাগরিককে দিয়ে শুরু হয় বুস্টার ডোজ কার্যক্রম। প্রথম ব্যক্তি হিসেবে বুস্টার ডোজ নেন কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালের সিনিয়র স্টাফ নার্স রুনু ভেরোনিকা কস্তা।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আহমেদুল কবীর জানান, আপাতত ঢাকার কয়েকটি কেন্দ্রে শুরু হচ্ছে বুস্টার ডোজ। পর্যায়ক্রমে দেশের অন্যান্য স্থানেও শুরু হবে।
নদী বন্দর / পিকে