বাংলাদেশ রেলওয়ের জন্য ৫৮০টি মিটারগেজ ওয়াগন (মালবাহী) কেনার চুক্তি স্বাক্ষর সম্পন্ন হয়েছে। মঙ্গলবার (২৮ ডিসেম্বর) দুপুরে রাজধানীর রেল ভবনে বাংলাদেশ রেলওয়ে ও চীনের একটি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে এই চুক্তি সই হয়।
চুক্তিতে বাংলাদেশের পক্ষে স্বাক্ষর করেন সংশ্লিষ্ট প্রকল্প পরিচালক মো. মিজানুর রহমান এবং ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চীনের সিআরআরসি কোম্পানি লিমিটেডের ভাইস প্রেসিডেন্ট ডাই জিয়েন।
৩১৮ কোটি ৬৩ লাখ ৩৯ হাজার টাকা ব্যয়ে ৫৮০টি মিটারগেজ ওয়াগণ সংগ্রহের লক্ষ্যে এই চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। চুক্তি স্বাক্ষরের দিন থেকে ১৮ থেকে ৩০ মাসের মধ্যে ওয়াগনগুলো সরবরাহ করবে সিআরআরসি কোম্পানি লিমিটেড।
চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে রেলপথ মন্ত্রী মো. নূরুল ইসলাম সুজন বলেন, রেলের সামর্থ্য বৃদ্ধির জন্য বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। একটি ভারসাম্যপূর্ণ যোগাযোগ ব্যবস্থা হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে রেলকে ঢেলে সাজানো হচ্ছে।
তিনি বলেন, রেলকে বাদ দিয়ে দেশের উন্নয়ন সম্ভব নয়। টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্যে একটি ভারসাম্যপূর্ণ যোগাযোগ ব্যবস্থা হিসেবে বর্তমান রেলওয়েকে ঢেলে সাজানো হচ্ছে। কারণ বর্তমান সরকারের লক্ষ্য টেকসই উন্নয়ন। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের আত্মনির্ভরশীল, মর্যাদাকর দেশ গঠন করার লক্ষ্যে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী কাজ করে যাচ্ছেন। তিনি জনগণের কথা মাথায় রেখে সুদূরপ্রসারী চিন্তা থেকে রেলওয়েকে আলাদা মন্ত্রণালয় করে দিয়েছেন।
মন্ত্রী আরও বলেন, সারা দেশে রেল যোগাযোগ বাড়ানোর লক্ষ্যে অনেক প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। দেশের বিভিন্ন বন্দরের সঙ্গে রেল যোগাযোগ স্থাপিত হচ্ছে। প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে রেল যোগাযোগ স্থাপনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ভারতের সঙ্গে ৮টি ইন্টারচেঞ্জ পয়েন্টের মধ্যে বর্তমানে পাঁচটি চালু করা হয়েছে। আরও তিনটি চালুর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। খুলনার সঙ্গে মংলা পোর্টে যোগাযোগ স্থাপিত হচ্ছে। আগামী বছর ডিসেম্বরে কক্সবাজার রেললাইন চালুর লক্ষ্যে কাজ এগিয়ে চলছে। পর্যায়ক্রমে সব মিটারগেজকে ব্রডগেজে রূপান্তর করা হবে। যমুনা নদীতে আলাদা রেলসেতু নির্মাণ করা হচ্ছে।
অনুষ্ঠানে রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. সেলিম রেজা, বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক ধীরেন্দ্রনাথ মজুমদার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
নদী বন্দর / পিকে