ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে বছরের শুরুটা হলো দুর্দান্ত। চেলসি-লিভারপুল মহারণ দিয়ে। কিন্তু স্ট্যামফোর্ড ব্রিজে ৪ গোলের এই ম্যাচে জিতলো না কেউ। ২-২ গোলে ড্র হলো চেলসি এবং লিভারপুলের ম্যাচটি।
শীর্ষস্থান অর্জন যেহেতু চেলসি কিংবা লিভারপুলের- দুই দলের কারোর পক্ষেই সম্ভব নয়। তবুও তাদের মধ্যে লড়াই রয়েছে দ্বিতীয় স্থানের। কিন্তু পয়েন্ট ভাগাভাগির ফলে চেলসিই রয়েছে দ্বিতীয় স্থানে। লিভারপুল রয়েছে তৃতীয় স্থানে। যদিও চেলসির চেয়ে এক ম্যাচ কম খেলেছে লিভারপুল।
২১ ম্যাচে ৫৩ পয়েন্ট নিয়ে শীর্সে রয়েছে ম্যানচেস্টার সিটি। সমান ম্যাচে ৪৩ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে চেলসি এবং ২০ ম্যাচে ৪২ পয়েন্ট নিয়ে তৃতীয় স্থানে রয়েছে লিভারপুল।
ম্যাচে প্রথমার্ধেই হয়ে যায় চারটি গোল। প্রথমে ২ গোলে এগিয়ে গিয়েছিল লিভারপুল। কিন্তু পরে সেই দুই গোল শোধ করে দেয় চেলসি। ৯ম মিনিটেই গোল করে সফরকারী লিভারপুলকে এগিয়ে দেন সাদিও মানে। এরপর ২৬ মিনিটে দ্বিতীয় গোল করেন মোহাম্মদ সালাহ।
ম্যাচের ৪২তম মিনিটে চেলসির হয়ে একটি গোল শোধ করে দেন মাতেও কোভাচিচ। প্রথমার্ধের একেবারে অন্তিম মুহূর্তে (৪৫+১ মিনিটে) দ্বিতীয় গোল শোধ করে চেলসিকে সমতায় ফেরান ক্রিশ্চিয়ান পুলিসিক।
রোমেলু লুকাকুকে স্কোয়াড থেকে বাদ দিয়েই একাদশ গঠন করেন চেলসি কোচ টমাস টুখেল। তবুও লিভারপুলের বিপক্ষে তাদের শুরুটা ছিল দারুণ। কিন্তু তা সত্ত্বেও প্রথম আধঘণ্টাটেই ২ গোলে পিছিয়ে পড়তে হয় তাদের। মাতেও কোভাচিচ শেষ পর্যন্ত চেলসি শিবিরে জীবন ফিরিয়ে আনেন। এরপর যুক্তরাষ্ট্রের ফুটবলার পুলিসিক গোল করে চেলসিকে সমতায় ফেরান।
ম্যাচ শেষে ক্রিশ্চিয়ান পুলিসিক বলেন, ‘ম্যাচের প্রথমার্ধ ছিল সত্যিই দুর্দান্ত। ২ গোলে পিছিয়ে থাকার পরও আমরা ম্যাচে ফিরে এসেছি এবং ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে পেরেছি, এটা অসাধারণ। অনুভূতি প্রকাশের মত নয়। তবে জিততে পারলে আরও অনেক ভালো লাগতো।’
লিভারপুল এই ম্যাচ খেলতে এসেছে তাদের প্রধান কোচ ইয়ুর্গেন ক্লুপকে ছাড়াই। শুধু তাই নয়, দলে ছিলেন না অ্যালিসন, রবার্তো ফিরমিনো এবং হোয়েল মাতিপ। কোভিড-১৯ টেস্টের পরও সন্দেহ থাকায় তাদেরকে বাদ দিয়েই স্ট্যামফোর্ড ব্রিজে খেলতে আসে অলরেডরা।
নদী বন্দর / জিকে