সরকারের কাছে ক্ষতিপূরণ দাবি করে অনশন ও অবস্থান ধর্মঘট করছেন গ্রিস থেকে দেশে পাঠানো ১৯ অভিবাসন প্রত্যাশী। মঙ্গলবার (৪ জানুয়ারি) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে টানা তৃতীয় দিনের মতো অবস্থান করছেন তারা।
এর আগে গত সপ্তাহে অবৈধভাবে প্রবেশ করা এই ১৯ বাংলাদেশিকে একটি চার্টার্ড ফ্লাইটের মাধ্যমে গ্রিসের রাজধানী এথেন্স থেকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠানো হয়।
তাদের দাবি, নিজেরাই বৈধতার জন্য গ্রিস সরকারের কাছে ধরা দিয়েছিলেন। কিন্তু পরবর্তীতে বাংলাদেশ সরকার তাদের জোর করে দেশে ফেরত পাঠিয়ে দেয়।
ধর্মঘটকারীদের একজন সাইফুল ইসলাম বলেন, আমরা ডিপোর্ট পেপারে সই না করলেও জোর করে আমাদের দেশে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। সেখানে নিয়ম হলো ১৮ মাস জেলে থাকার পর বৈধ করে নেওয়া। গ্রিস সরকার সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নিচ্ছিলো। কিন্তু আমাদের দূতাবাস জোর করে দেশে পাঠিয়ে দেয়।
গ্রিসফেরত সোহেল কামাল বলেন, আমরা সবাই প্রায় ১৫ লাখ টাকার ওপরে খরচ করে গ্রিসে গিয়েছিলাম। দেশটির সরকার আমাদের বৈধতা দিতো। কিন্তু বাংলাদেশ দূতাবাস ফেরত পাঠিয়ে দিয়েছে।
তিনি বলেন, তিনদিনের অনশনে আমাদের ১৯ জনের মধ্যে আটজন অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। তারপরও সরকার আমাদের কোনো খোঁজ-খবর নেয়নি। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয় আমাদের অভিযোগ আমলে নিচ্ছে না।
তথ্যমতে, ২০১৬ সালের পর গ্রিস থেকে বাংলাদেশে এটিই প্রথম ফেরত পাঠানোর ঘটনা। সমন্বিত পুলিশি অভিযানে ১৯ বাংলাদেশিকে আটক করে সরাসরি পাঠিয়ে দেওয়া হয় বাংলাদেশে।
নদী বন্দর / বিএফ